ডাম্পিংয়ের ভয়ে নারায়ণগঞ্জের সকল সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শহরের সবগুলো বাসের টিকিট কাউন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
গত শনিবার নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক ঘোষণা দিয়েছিলেন, রুট পারমিট ছাড়া নারায়ণগঞ্জে কোন গাড়ি চলাচল করলে ডাম্পিং করা হবে।
রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের কেন্দ্রীয় বাস কাউন্টার থেকে ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী বন্ধন, উৎসব, আনন্দ পরিবহন বন্ধ রয়েছে। আর চিটাগং রোড-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী বন্ধু ও বাঁধন পরিবহনের বাসও চলছে না।
বাস কাউন্টারের আশপাশের সড়কে এসব পরিবহন পার্কিং করে রাখা হয়েছে। তবে সীমিত সংখ্যক সরকারি বিআরটিসি ও শীতল পরিবহনের বাস চলাচল করতে দেখা গেছে।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাব্বির আলম বলেন, বাস কাউন্টারে এসে দেখি বন্ধ। ফলে ফিরে যাচ্ছি। এভাবে হঠাৎ সব বাস বন্ধ করায় বেশি ভাড়া দিয়ে সিএনজি বা অটোরিকশায় করে গন্তব্যে যেতে হবে।
শহিদুল ইসলাম নামে একজন যাত্রী জানান, শশুর বাড়ি যাওয়ার জন্য ঢাকায় যেতে বাস কাউন্টারে এসে দেখি বন্ধ। তাই সিএনজির জন্য অপেক্ষা করছি।
বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি রওশন আলী সরকার বলেন, আমাদের অনেক গাড়ির রুট পারমিট ও ফিটনেস নেই। শনিবার এমপি, মেয়রের সঙ্গে ডিসি ও এসপির মিটিং হয়েছে। ওই মিটিংয়ে অনুমোদনহীন বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ কারণে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গাড়ির রুট পারমিটের জন্য আবেদন করেছি। অনুমতি পেলে আবার বাস চলাচল শুরু হবে।