রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের অপসারণ ইস্যুতে নীতিনির্ধারণী বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে বিএনপি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতারা এই ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করে এ তথ্য জানান। শনিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সাত নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির কয়েকজন শীর্ষ নেতা।
বৈঠক শেষে নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন সময়ের আলোকে বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা আমাদের বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছি। তারা শুনেছেন। দলীয় ফোরামে বিষয়গুলো নিয়ে তারা আলোচনা করবেন। রাষ্ট্রপতি চুপ্পু সাহেবের বিতর্কিত দিকগুলো বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে। এই ইস্যুতে বিএনপি কি আগের সাংবিধানিক শূন্যতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে? জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন এর বাইরে কিছু বলা সম্ভব নয়।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গত ২৩ অক্টোবর আমরা জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলাম। ফ্যাসিবাদ বিলুপ্তির আরেকটি বাধা হিসেবে আমাদের সামনে এখন এসে দাঁড়িয়েছে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ।
হাসনাত বলেন, আমাদের নতুন যে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি। আজকে (শনিবার) বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেখানে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রথমটি হচ্ছে-সেকেন্ড রিপাবলিক কীভাবে গঠন করা যায় এবং কী ঘোষণা দেব তা নিয়ে আলোচনা করেছি। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে কীভাবে দ্রুততম সময়ে অপসারণ করা যায় এবং কীভাবে রাজনৈতিক সংকট দূর করা যায়- তা নিয়ে কথা বলেছি। তৃতীয়ত, জাতীয় ঐক্যকে ধরে রেখে কীভাবে সরকার পরিচালনা করা যায় তা নিয়ে কথা বলেছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই শীর্ষ নেতা বলেন, বিএনপি নেতারা আমাদের সব কথা শুনেছেন। তারা জানিয়েছেন, আমাদের বার্তা নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করবেন, পরে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।
জামায়াতের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে তারা একমত পোষণ করেছেন বলেও জানান হাসনাত।
তিনি বলেন, একই ইস্যুতে আমরা ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারাও নৈতিকতার জায়গা থেকে রাষ্ট্রপতির অপসারণ চায়। আগামীতে এসব বিষয় নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট ও গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলেও জানান হাসনাত আবদুল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদ, সমন্বয়ক রিফাত রশিদ, জাতীয় নাগরিক কমিটি আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আকতার হোসেন ও সদস্য আরিফুল ইসলাম আদিব।