নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, লিটন বললো এই এলাকার আগের এমপি গিয়াসউদ্দিন সাহেব এই স্কুলের দিকে কোন নজর দেয় নাই। গিয়াসউদ্দিন সাহেব এমপি হয় নাই, ওনাকে এমপি বানাইছে মোহাম্মদ আলী ভাই। রাতের ভোটেই বানাইছে। মোহাম্মদ আলী ভাইয়ের সাথে এর পর থেকে আমার একটু দুরুত্ব তৈরি হইছিলো। কিন্তু আমার জিবনের প্রথম ইনকাম সোর্স তৈরি করে দিছিলো মোহাম্মদ আলী ভাই। আমি মোহাম্মদ আলী ভাইকে বলছিলাম, সবার আগে আপনারেই কামর দিবো ওই লোক। আর দিসিলো। গিয়াসউদ্দিন সাহেব তো ওনার বাসার সামনে যে রেবতি মোহন স্কুল, ওইখানেও একটা ইট লাগায় নাই। এখানে কি লাগাবে। কেও আসে দিতে, আর কেও আসে খাইতে। আমরা দিতে আসছি না খাইতে, সেটা আল্লাহ ভালো জানে।
রোববার (১৯ মার্চ) বিকেলে ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শামীম ওসমান বলেন, ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজ করার যে প্রস্তাবনা দেয়া হইসে সেটা আমি সরকারের কাছে আবেদন করবো। আমি তো আর সেলিম ওসমান না যে, খারার উপরে বলে ফেলবো; দিলাম ১ কোটি। আমাকে সরকারের কাছ থেকে আনতে হবে। আমি কোথাও কোন কথা দেই না। আর আমার নামে এই কলেজটা হবে না, আমি চাইবো এই কলেজের নামটা আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী ভাইয়ের নামে হোক। কারণ ওনারা যেটা দিয়ে গেছেন আমাদের সেই তুলনায় কিছুই নাই দেয়ার মতো, কারণ উনি আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, স্কুল হবে, কলেজও হবে; কিন্তু লাভ কি হবে ভাই। যখন দেখি রাস্তার কোনায় কেউ লুকায় যাচ্ছে; তখন খারাপ লাগে। কারণ মাদক আমাদের সমাজের অনেক বড় রোগ। আমাদের বয়স হয়ে গেছে, আমরা কিছু করতে চাই। এই স্কুল থেকে পড়ে পার হয়ে গেলেই জিবন শেষ না। এটা স্মার্টনেস এর যুগ। ভালো মানুষ হওয়ার কোন বিকল্প নাই। আর ভালো মানুষ তারাই হয় যাদের উপর বাবা-মার দোয়া থাকে। আমরা জিবনে অনেক টাকাও দেখেছি, অনেক অভাবও দেখেছি। আজ আমি গর্ব করি আমার বাবা-মাকে নিয়ে। আমার পরিক্ষার ফরম আমার শিক্ষক তার টাকা দিয়ে পুরণ করে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, আমি সবসময় সত্য বলার চেষ্টা করি, মিথ্যা বলি না। ফতুল্লা পাইলট স্কুলে ও এই এলাকায় যা যা করা দরকার আমরা করার চেষ্টা করবো। আমি মাদক, চাদাঁবাজ, ইভটিজিং, ভুমিদস্যুমুক্ত একটি ফতুল্লা চাই। আপনারা শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মানেই আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত। আমাদের মাথা উচু করে দারানোর প্রেরণা।
এসময় বিদ্যালয়ের সভাপতি ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদ্য সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন এর তত্বাবাধায়নে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত ফেরদৌস, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল।
আরও উপস্থিত ছিলেন- ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির প্রমুখ।