প্রতিবছর রমজান আসলেই নারায়ণগঞ্জ শহরে যানজট বেড়ে যায়; সাথে বাড়ে দূর্ভোগ। এমন দূর্ভোগ থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে এ বছর ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান।
জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সহযোগীতায় এই অর্থের জোগান হবে। ব্যয় করা হবে সদর, বন্দর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় কমিউনিটি পুলিশ নিয়োগ ও তাদের বেতনের মধ্যদিয়ে। এতে কমবে যানজট আর দূর্ভোগ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের সাথে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ‘র সহ-সভাপতি সোহেল সারোয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আমীর খসরু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) চাইলাউ মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. সোহান সরকার, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন।
বৈঠকে নারায়ণগঞ্জের যানজট, ছিনতাই বেড়ে যাওয়া, মৌমিতা পরিবহনসহ যাত্রীবাহী পরিবহনের নৈরাজ্য, চাষাঢ়া, পঞ্চবটিসহ বিভিন্ন স্থানের অবৈধ স্ট্যান্ড, অবৈধ পার্কিংসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরে মানুষের চাপ বেড়েছে। লিংক রোডের কাজ চলায় এই দূর্ভোগ আরও বেড়েছে। রমজান মাস আসলে মানুষের চাপ আরও বাড়বে। এটা পুলিশের নিয়ন্ত্রণ করার কথা কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ঢাকার ২ কোটি মানুষের জন্য ৩৭ হাজার পুলিশ আর নারায়ণগঞ্জে ১ কোটি মানুষের জন্য মাত্র ২ হাজার। তাই পুলিশ সদস্য দিয়ে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আজকের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রমজান মাসে সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর, নারায়ণগঞ্জ সদর ও ফতুল্লার মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কমিউনিটি পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হবে। এতে এক দিকে যেমন যানজট কমবে, একই সাথে মানুষের দূর্ভোগ লাগব হবে। এ জন্য ২৫ লাখ টাকা পুলিশ সুপারকে দেওয়া হবে। এই টাকা আসবে জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষের থেকে।
বৈঠক শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, রমজান মাসে যানজট নিরষনের জন্য ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশংয়ের মাধ্যমে যানজট নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছেন সেলিম ওসমান স্যার। এতে কিছু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে আর পুলিশকে সহযোগীতার মাধ্যমে জনগণও উপকৃত হবে। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। আমি এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। আমি মনে করি তাঁর মতো অন্যান্যদেরও এগিয়ে আসা উচিৎ। তার মতো এগিয়ে আসলে এই সমাজ ব্যবস্থাটা আরও বেশি ভালো হবে।
প্রতিবছরই রমজানে যানজট নিরসনে এই উদ্যোগ নেন সেলিম ওসমান। গতবছর ১৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন তিনি।