ফতুল্লায় এক ব্যাক্তিকে গলায় রড দিয়ে একাধিক আঘাত করে হত্যা করে ইজিবাইক নিয়ে পালানোর সময় ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। শনিবার (১১ মার্চ) দিনগত রাত সাড়ে ৩টায় ফতুল্লার চর কাশিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছিনতাই হওয়া ইজি বাইক ও ব্যাটারী উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবকের নাম ইউসুফ (৪০)। সে নোয়াখালী কমলনগরের কালকিনি গ্রামের মৃত. আলী হোসেনের ছেলে। ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ এলাকায় সুমন মাহজনের ইজিবাইক ভাড়ায় চালাতেন।
রবিবার (১২ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল।
গ্রেপ্তারারা হলেন- মাহবুব (২৪), কাউছার (২২) ও আমিন (২৩) একই মাহজনের ইজিবাইক চালক।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, ১২ মার্চ রাত দেড়টায় ফতুল্লা থানার এসআই আনোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ টহল ডিউটিতে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় মো. মাহবুব (২৮), মো. কাউসার(২২) ও মো. আমিন(২৩)কে একটি ব্যাটারি চালিত ইজি বাইক ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যেতে দেখে সন্দেহ হয়। এলোমেলো ও সন্দেহজনক কথা-বার্তা বলায় তাদের গ্যারেজের মালিককে (সুমন মহাজন) ডেকে আনা হয়। মহাজন জানায়, ধৃতরা তার মালিকানার ইজি বাইক ভাড়ায় চালায়, কিন্তু তারা এই ইজি বাইকের চালক নয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ঋনের টাকা শোধ করার জন্য অটো ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রাত ১১টায় ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ইউসুফের ইজি বাইক ভাড়া করে নাসিম ওসমান সেতুর কাছে নিয়ে যায়। সেতুর পাশে চায়ের দোকানে বসে চায়ের সাথে চেতনা নামক ঔষধ মিশিয়ে চা খাওয়ায় পরবর্তীতে সেখান থেকে এক পর্যায়ে চর কাশিপুর এলাকায় নিয়ে ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে চালকের গলায় তিনজন মিলে সুচালো রড দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, লাশের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, চর কাশিপুর রাস্তার পাশে তারা ইজি বাইক চালক ইউনুককে খুন করে লাশ ফেলে রেখে এসেছে। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা রজু প্রক্রিয়াধীন।