মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এমপি বলেন, একটি দল বলছে মুক্তিযুদ্ধে এতো লোক মারা যায় নাই। আবার তারাই আজকে আমাদের গনতন্ত্রের সবক দেয়। যারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তাদের কাছ থেকে আমাদের সবক নিতে হবে!
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন পাকিস্তানই ভালো ছিল। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা আজ গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই অপশক্তির মোকাবেলা করতে হবে।
শনিবার (২২ জুলাই) বন্দর সমরক্ষেত্রে নির্মিত নারায়ণগঞ্জ স্মৃতি সৌধ উদ্বোধন উপলক্ষে জেলা প্রসাশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যেকের কবর একই রকম বানানো হবে। যাতে আগামী প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করতে পারে। আগামী এক মাসের মধ্যে সারা দেশে বীরের কন্ঠে বীরত্ব গাথা অনুষ্ঠান শুরু হবে। যাতে তা রোজ কেয়ামত পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকে। সরকার অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরি করছে।
তিনি বলেন নারায়ণগঞ্জ স্মৃতি সৌধটি জাতীয় স্মৃতি সৌধের আদলে করা হয়েছে। যা ৬০ ফিট গভীর করে নির্মাণ করা হয়েছে। এ সৌধ একশ বছর পযন্ত টিকে থাকবে। স্বাধীনতার গৌবরময় ইতিহাস কালিমাযুক্ত করতে দেশী বিদেশী চক্রান্ত চলছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে চক্রান্ত নস্যাৎ করে নৌকা মাকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনবো।
জেলা প্রশাসক মনজুরুল হাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। এছাড়া আরওবক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজি নাসির, বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ, সোনারগাঁও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভুইয়া, সিভিল সার্জন ডা, মুশিউর রহমান, বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম কুদরত এ খুদা প্রমুখ।