গত মে মাসে বন্দরে বিভিন্ন অপরাধে মামলা হয়েছে ৫১টি। এর মধ্যে হত্যা মামলা ১টি, চাঁদাবাজি ১টি, ডাকাতি প্রস্তুতি ১টি, অস্ত্র আইনে ১টি, চুরি ১টি,ধর্ষন ২টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ২টি, সড়ক পরিবহন আইনে ২টি ও মাদক মামলা ২৮টি ও অন্যান্য মামলা হয়ে আরো ১০টি।
পুলিশের দাবি গত মে মাসে বন্দরে আইন শৃঙ্খলা যে কোন মাসের চেয়ে অনেক ভালো। ২৮টি মাদক মামলায় পুলিশ বন্দরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে।
এছাড়াও বন্দরে চাঞ্চল্যকর রোমান ওরফে ক্যাপ রোমান হত্যা মামলায় পুলিশ এজাহারভূক্ত ৫ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে।
২৮টি মাদক মামলায় বন্দর থানা পুলিশ, র্যাব-১১, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর জেলা কাউন্টার টোরিজম ইউনিটসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সংস্থা বন্দরে বিভিন্ন স্থানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৪৪ হাজার ৫’শ ৫২ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট, ৬৬ কেঁজী ৫’শ গ্রাম গাঁজা, ৩১ বোতল ফেন্সিডিল ও ৯৬ ক্যান বিয়ার ও ২৬০ পুড়িয়া হেরোইন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য আনুমানিক মূল্য হলো ১ কোটি ৫৩ লাখ ১১ হাজার ৬’শ টাকা। এ ছাড়া পুলিশ গত মে মাসে ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চালিয়ে সিআর মামলার ২৯ জন, জিআর মামলার ৬৯ জন ও ১১ জন সাঁজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
গত মে মাসে উল্লেখিত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ২১৯ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করতে সক্ষম হয়। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, সন্ত্রাস ও মাদক ব্যবসায়ীদের কোন ছাড়া নেই আমার কাছে। গত মাসে ৫১টি মামলার মধ্যে ২৮টি মামলাই মাদকের।
আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য বন্দরে বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও মদনগঞ্জ সৈয়ালবাড়ি ঘাট এলাকার ক্যাপ রোমান হত্যা মামলার প্রধান আসামী অনিক সরদারসহ এজাহারভূক্ত ৫ আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করতে সক্ষম হই।
রাতের বেলায় বন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে পুলিশের টহল জোরদার রাখা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বন্দর থানা পুলিশ আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।