অবশেষে পিএসজির জার্সিতে প্রথম গোলের দেখা পেলেন লিওনেল মেসি। সেটাও চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে শক্তিশালী ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে। ঘরের মাঠে তার দলও জয় পেয়েছে ২-০ গোলের ব্যবধানে। অপর গোলটি করেছেন ইদ্রিসা গানা গেয়ে।
বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে আসার পর থেকেই মেসিকে ঘিরে সর্বদিকে উচ্ছাস। কিন্তু সেটিতে যেন এতদিন ঠিক রঙ লাগছিল না। কীভাবেই বা লাগবে? তিনটি ম্যাচে মাঠে নামার পরও যে কোনো গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না। তারওপর আবার নেইমার-এমবাপ্পের সঙ্গে তার রসায়নটাও জমছিল না। যার ফলে আলোচিত ‘এমএনএম’ ত্রয়ীর সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কেউ কেউ।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হয় পিএসজি। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে পেপ গার্দিওলার সিটিকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিলো ফরাসি জয়ান্টরা। কারণ, সর্বশেষ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে এই সিটির কাছেই হেরেছিল তারা।
ম্যাচটি আরও একদিক দিয়ে ভক্তদের মনে আশার সঞ্চার করেছে। এই প্রথম মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে বা ‘এমএনএম’ ত্রয়ীর মাঝে রসায়ন জমে উঠতে দেখা গেছে। যার কিছুটা টের পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। এর মধ্যে মেসির গোলটির এসিস্ট করেছে এমবাপ্পে। আর নেইমারের বাড়িয়ে দেওয়া দারুণ একটি শটকে ফিরতি শট দিয়ে প্রতিপক্ষের জালে পাঠিয়ে দেন ইদ্রিসা গানা গেয়ে। ম্যাচ শুরুর মাত্র ৮ মিনিটের মাথায় পিএসজিকে এগিয়ে নেন তিনি।
মেসির গোলটি এসেছে ৭৪ মিনিটে। তার আগে ও পরে আরও কয়েকটি দারুণ সুযোগ পেয়েছিল উভয় দল। কিন্তু কেউই সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। সবচেয়ে বেশি আধিপত্য দেখিয়েছে ম্যানসিটি। মোট ৫৪ শতাংশ বল দখল তাদের ছিল। পিএসজির গোলপোস্টে শট নিয়েছে ১৮টি এবং এর মধ্যে টার্গেট হয়েছে ৭টি। ভাগ্যিস, গোলবারে ইউরো সেরা গোলরক্ষক ছিল। তার দারুণ কয়েকটি সেভের কারণে গোল হজম করতে হয়নি পচেত্তিনোর শীর্ষদের। নয়তো ম্যাচের ফলাফল অন্যরকমও হতে পারতো।
অন্যদিকে, পিএসজি প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে শট নিয়েছে মাত্র ৬টি এবং এর মধ্যে টার্গেট হয়েছে ৩টি। যার মধ্যে দু’টি গোল। এই জয়ের ফলে গ্রুপ এ-তে শীর্ষে উঠে এলো পিএসজি। আর ম্যানচেস্টার সিটির অবস্থান ৩ নম্বরে।