মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে আধিপত্য বিস্তার ও ইটভাটা দখল নিয়ে সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার মোল্লাকান্দিতে দফায় দফায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে।
এতে টেঁটাবিদ্ধ হন রিফা আক্তার, রাকিব মুন্সি, শহিদ বাউল, মিশু মোল্লা, জাকারিয়া, শাহ আলী, এলাহী মুন্সি, জামিলা, সাব্বির, মিঠুন বাউল। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নুর বাউল গ্রুপ ও নাসির মেম্বার গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার, বালুচর বাজার ও ইটভাটা দখলকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি পুলিশ উভয়পক্ষকে ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। তবে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল আবারও দেশীয় অস্ত্র, টেঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুপক্ষ।
এ সময় বেশকয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এ সময় টেঁটাবৃদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে সিরাজদিখান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুক্তার হোসেনসহ তিনজন পুলিশ সদস্য।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও নুরু বাউলের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। একাধিকবার কল দেওয়া হলেও ফোন ধরেননি নাসির মোল্লা।
জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত জাগো নিউজকে জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১০০ টেঁটা জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।