নারায়ণগঞ্জ শহরের আলোচিত মীর জুমলা সড়কের দু’পাশ থেকে অবৈধ কাঁচামাল ব্যবসায়ী ও ভ্রাম্যমাণ হকারদের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন প্রশাসন। এতে করে জনগণের চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হয়েছে সড়কটি।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের দিগুবাবুর বাজারের মীর জুমলা সড়কটি অবৈধ হকার ও বাজার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত মোহাম্মদ নোমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আমির খসরু, নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা।
উচ্ছেদ অভিযান শেষে নারায়ণগঞ্জ ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আমির খসরু বলেন, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় জনপ্রতিনিধিসহ সকলেরই ঐক্য মতে, যানজট, অবৈধ স্ট্যান্ড, হকার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কাজ করছে প্রশাসন। তারই প্রেক্ষিতে গত তিনদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদে কাজ করছে প্রশাসন।
তিনি বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ প্রশাসনের যৌথভাবে আজ মীর জুমলা সড়কটির দুপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আপনারা দেখছেন কি সুন্দর একটি ঢালাই করা রাস্তা মনে হবে না যে এখানে রাস্তা ছিল ।
আমরা দুই-তিনদিন ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছি হকার মুক্ত মানুষের চলাচলের রাস্তা নারায়ণগঞ্জবাসীকে উপহার দেয়ার জন্য।
তিনি আরও বলেন, আমি আশাকরি যারা হকার আছে তাদের থেকে শুরু নারায়ণগঞ্জের সুশীল সমাজ, রাজনীতিবিদ , সাংবাদিকসহ প্রশাসনের সকলের যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা সুন্দর একটি স্মাট নারায়ণগঞ্জ গড়ব।
যেখানে মানুষ নির্বিঘ্নে হাঁটতে ও চলাচল করতে পারবে। আমাদের যে কার্যক্রম চলছে সেটি অব্যাহত থাকবে। গত ২-৩দিনে যে অর্জনটা করেছি সকলের সহযোগিতা ও প্রচেষ্টায় সেই অর্জনটা আমরা স্থায়ীভাবে ধরে রাখতে চাই।
সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা থাকাকালে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী এ সড়কের অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করার চেষ্টা করেছিলেন। তারপরও বহাল ছিল অবৈধ দখলদাররা।
এরপর বহুল আলোচিত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ হারুন অর রশীদের নির্দেশে উচ্ছেদ করা মীর জুমলা সড়কের দোকানপাট। তিনি বদলি হয়ে যাওয়ার পরপরই দোকান মালিকরা আবারও রাস্তাটি দখল করে নেয়।