মিয়ানমারে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিন ও ইন মা গ্রামে শত শত বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে।
২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের একাধিক গ্রামেও আগুণ দিয়েছিল দেশটির সেনাবাহিনী।
গণমাধ্যম এএফপি জানিয়েছে, গত সোমবার নিজ দেশের মানুষদের ওপর এমন নৃসংসতা চালায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করে সামরিক জান্তা। এর কয়েকদিন পর থেকেই জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধে নামেন অনেকে। বর্তমানে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স নামে জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন সাধারণ জনগণ।
তবে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে, জান্তাবিরোধীরা সাধারণ মানুষের ঘরে আগুন দিয়েছে। কিন্তু পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের সদস্যরা জানিয়েছে, এ কাজ করেছে সেনারাই।
পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের সঙ্গে সংঘর্ষের পরই প্রতিশোধ নিতে বিন ও ইন মা গ্রামে আসে সেনারা। এ সময় তাদের ভয়ে পালিয়ে যায় সাধারণ গ্রামবাসী। আর তখনই গ্রাম দুটির প্রায় ৮০০ ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় সেনারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিন গ্রামের একজন বাসিন্দা শুক্রবার এএফপিকে বলেন, জান্তাবিরোধী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের জের ধরে ওই দিন সকালে তাঁদের গ্রামে আসেন সেনারা।
তারা ভারী অস্ত্র নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করেন। গোলাগুলির শব্দ শুনে গ্রামবাসী ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় জান্তা সেনারা বিন গ্রামের প্রায় ২০০ বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।
সেনারা প্রবেশ করার পর দ্রুত বাড়ি ছাড়ার কারণে কোনো কিছু নিয়ে বের হতে পারেননি বলে জানান ওই নারী।
অন্যদিকে ইন মা হতে গ্রামে প্রায় ৬০০ বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশ না শর্তে ওই গ্রামের এক যোদ্ধা এএফপিকে জানান, পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের যোদ্ধারা গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার পর সেনারা সেখানে এসে প্রায় ৬০০ বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।