মামলার সাক্ষি না দেওয়ায় বেতন আটকে দেওয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ২ এসআইসহ ১ কনস্টেবলের। একই সাথে তাদেরকে কেন সাজা প্রদান করা হবে না; জানতে চেয়েছে আদালত।
নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (৪র্থ) আদালতে রোববার (১১ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন বিচারক মো. কাউছার আলম।
আদালত সূত্র জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই, ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর এনবিডব্লিউ/ডব্লিউসহ পুলিশ সুপারের মাধ্যমে আদেশের অনুলিপিসহ প্রসেস ইস্যু করা হয়। কিন্তু সাক্ষীগণ আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষি প্রদান করেননি।
২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চানমারী বস্তিতে অভিযান পরিচালনা করে মুক্তি নামের ২৬ বছর বয়সী এক নারীকে গাঁজা বিক্রি করা অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর হেফাজত থেকে ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিল। পরদিন ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করা হয়।
মামলায় এজাহারকারী ও জব্দ তালিকা প্রস্তুতকারী সাক্ষী ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সেই সময়ের উপপরির্দশক (এসআই) মো. আশরাফুল ইসলাম, কনস্টেবল বিষ পদ বালা, তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরির্দশক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান।
আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের স্টোনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর (ব্যক্তিগত সহকারী) সাইফুল মীর জানান, আদালত আদেশ দিয়েছে সাক্ষী এসআই মো. আশরাফুল ইসলাম, কনস্টেবল বিষ পদ বালা ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মিজানুর রহমানকে কেন সাজা প্রদান করা হবে না, তা আগামী ১১ জানুয়ারির মধ্যে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে। একই সাথে আদালত থেকে আদালত থেকে ইস্যুকৃত কোর্ট সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা না দেওয়া পর্যন্ত বেতন আটকে রাখারা নির্দেশনা প্রদান করেছেন।