গত ৩১ মে তিন দিনের মধ্যে সকল হজযাত্রীর ভিসা করানোর নির্দেশ দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ছয়দিন অতিবাহিত হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হজযাত্রীর ভিসা করানো সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩৩ হাজারের বেশি হজযাত্রীর ভিসা করানো বাকি আছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে সউদী আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে দ্রæত ভিসা দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এ অবস্থায় প্রায় ২৭ শতাংশ হজযাত্রী ভিসার অপেক্ষায় রয়েছেন। আগামীকাল বুধবারের মধ্যে ৮০ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা না করানো গেলে জটিলতায় পড়তে পারে বাংলাদেশ। হতে পারে লাল তালিকাভুক্তও। সউদী আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
৭ জুনের মধ্যে অন্তত ৮০ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন না করতে পারলে লাল তালিকাভুক্ত করার হুমকি দিয়েছে সউদী আরব। এমন তথ্য জানিয়ে ধর্ম সচিবকে চিঠি দিয়েছে জেদ্দার বাংলাদেশ হজ অফিস। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল বুধবারের মধ্যে ৮০ শতাংশ হজযাত্রীদের ভিসা করানোর নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তা না করতে পারলে বাংলাদেশ হজ কার্যক্রমে লাল তালিকাভুক্ত হতে পারে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সউদী হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়ের বার্তার উদ্ধৃতি দিয়ে কাউন্সিলর (হজ) মো. জহিরুল ইসলাম সই করা চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, রাজকীয় সউদী সরকারের হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় হতে জানানো হয়েছে যে, হজ বিষয়ক নানাবিধ চুক্তি কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়া দেশগুলোর হজ অফিসের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে হাজিদের ভিসা ইস্যুর কাজ চূড়ান্তে পৌঁছানো দেশগুলোর হজ অফিসকেও ধন্যবাদ জানাই। তবে কিছু কিছু দেশের হজ অফিস লাল তালিকাভুক্ত হয়েছে। ফলে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন ও কার্যক্রম সম্পাদনে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এর যাবতীয় দায়ভার সেই সব হজ অফিসের (দেশ) ওপরই বর্তাবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, আগামী ৭ জুনের মধ্যে ভিসা ইস্যুর শতকরা ৮০ ভাগ কাজ সম্পাদন করা চাই। এর ব্যত্যয় ঘটলে সউদী হজ মন্ত্রণালয় যে কোনো ধরনের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য থাকবে।
এর আগে রোববার নির্দেশ দেওয়ার পরও তিন দিনের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু না করায় ৯০টি বেসরকারি হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়।