ভোটের মাঠে সমানে সমান ছিলেন দুই প্রার্থী। শেষ পর্যন্ত কে জিতবে? গতকাল এই প্রশ্ন ছিল মুখে মুখে। অবশেষে ভাগ্যের লড়াইয়ে জিতে গেলেন মজিবুর রহমান।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে মঙ্গলবার দুপুরে লটারির মাধ্যমে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঞ্জুরুল হাফিজের উপস্থিতিতে দুই প্রার্থী মজিবুর রহমান ও মো. জাহাঙ্গির আলমের সামনে লটারির নাম তোলেন এক স্কুল শিক্ষার্থী। সেখানে নাম আসে মজিবুর রহমানের।
মজিবুর রহমান সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের ঘনিষ্টজন। আর প্রতিপক্ষ মো. জাহাঙ্গির আলম জেলা আওয়ামী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হয়াৎ আইভীর ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত।
১টি চেয়ারম্যান পদ, ৫টি সাধারণ সমদ্য পদ ও ২টি সংরক্ষিত পদ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ গঠিত। চেয়ারম্যান ও সাধারণ সদস্য পদে দুজন বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছিল। বাকি তিনটি সাধারণ সদস্য এবং দুটি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পাঁচটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে।
নির্বাচন কার্যালয় থেকে পাওয়া বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, ১ নম্বর ওয়ার্ডে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩৬ কাউন্সিলর ও মেয়রসহ মোট ৩৭ জন ভোটার। তাদের মাঝে ৩৫ জন ভোট প্রদান করেছেন। বাতিল হয় একটি। জাহাঙ্গীর আলম ও মজিবুর রহমান ১৫টি করে ভোট পেয়েছেন। অপর দুই প্রার্থী মো. আলাউদ্দিন ও সায়েম রেজা পেয়েছেন যথাক্রমে ৩ ও ১ ভোট।
দুই প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় এই ওয়ার্ডে মঙ্গলবার লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচিত করা হবে বলে জানান সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হলেন মজিবুর রহমান।