শীতলক্ষ্যা থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর ওরফে পরশের লাশ দাফন কার্য শেষ হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ফতুল্লার দেলপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে ফারদিনকে দাফন করা হয় ।
এর আগে আজ (৮ নভেম্বর) দুপুরে ময়নাতদন্তের পর নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল থেকে ফারদিনের মরদেহ নেওয়া হয়েছিলো বুয়েটে। সেখানে ফারদিনের সহপাঠী, শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যরা ফারদিনের জানাযায় অংশগ্রহন করেন। পরে শিক্ষক—শিক্ষার্থীরা হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে মানবন্ধন করেন। মানববন্ধনে হত্যাকারীর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান তারা।
এরপর বুযেট থেকে নিয়ে আসা হয় ফারদিন যেখানে থাকতেন ডেমরায়। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ওই জানাজায় এলাকার সহপাঠীসহ এলাকার মুরব্বীরা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ফারদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পাশাপাশি বুয়েট ডিবেটিং ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে লাশ উদ্ধারের পর মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ফারদিনের লাশের ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেছেন, ফারদিনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের নয়ামাটি এলাকার কাজী নূর উদ্দিনের ছেলে। তবে তাঁরা বর্তমানে রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়া শান্তিবাগ এলাকায় থাকেন।