ফতুল্লায় একই বাড়িতে থাকার সুবাদে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে অভিযুক্ত প্রেমিককে আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ।
আটককৃতর নাম মো. আবু সাঈদ (২৩)। সে ফতুল্লা ভোলাইল মরাখাল পাড় এলাকার নিলু ভুইয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া মো. রাজ্জাক হোসেনের ছেলে।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, এক সময় ভুক্তভোগী তার এক বান্ধবীকে নিয়ে ভোলাইল মরাখাল পাড় এলাকায় যে ভাড়া বাসায় বসবাস করতো সেই একই বাসায় ভাড়ায় বসবাস করতো অভিযুক্ত মো. আবু সাঈদ। সে সূত্রে ধরেই তাদের মধ্য পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারা বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যেতো। ৪ আগস্ট সকাল আটটার দিকে বাদীর রুমে প্রবেশ করে বিয়ের কথা বলে তার সাথে প্রথম বারের মতো শারীরিক সম্পর্ক করে। এরপর থেকে প্রায় সময় বাদীর বান্ধবী বাসায় না থাকলে কাজে থাকার সুবাধে বাসায় এসে বাদীর সাথে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হতো। দু মাস পূর্বে সেই বাসা ছেড়ে দিয়ে একই এলাকার অন্য আরেক বাসায় ভাড়ায় আসে বাদী। সে বাসাতেও আবু সাঈদ এসে তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করে। সর্বশেষ বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৮ টার দিকে আবু সাঈদ বাদীর রুমে এসে তাকে সাথে দীর্ঘক্ষন গল্প করে তাকে বিয়ের করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত অবস্থান করে তিনবার শারিরীক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর বাদীকে বিয়ে করবেনা এবং মোবাইল ফোনটিও বন্ধ করে দেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম সারোয়ার জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর দায়ের করা ধর্ষন মামলায় অভিযুক্ত সাঈদকে শুক্রবার দুপুরে ভোলাইল এলাকা থেকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।