দুই ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়নের’ লড়াই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টির, আর ইংল্যান্ড ওয়ানডে ফরম্যাটের। সেই লড়াই কিনা শেষ হতে সময় নিলো মোটে ১৩৬ বল! টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন উইন্ডিজকে হারাতে ইংল্যান্ডকে বল খেলতে হলো মোটে ৫০টা!
তবে বলের হিসেব দেখে ইংল্যান্ডের জয়টা অনায়াসে এসেছে ভাবলে ভুল করবেন। ৮.২ ওভারের ইনিংসেই ওয়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা হারিয়ে ফেলেছিল ৪ উইকেট। সহজ জয়টা কঠিন হয়ে পড়ছিল তাতে। তবে শেষটা ভালোভাবেই করেছেন ইংলিশ অধিনায়ক অইন মরগ্যান আর ওপেনার জস বাটলার। তাতেই নির্বিঘ্নে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে ইংলিশরা। এর ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম জয়টাও পাওয়া হয়ে যায় দলটির। এর আগে পাঁচ বারের দেখায় সবকটিতেই হেরেছিল ইংল্যান্ড।
দিনের শুরুতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। এরপর মঈন আলি, আর রশিদ খানের ঘূর্ণিতে বড় বিপদেই পড়ে উইন্ডিজ। দ্বিতীয় ওভারে এভিন লুইসকে হারানো দিয়ে শুরু। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়ে দলটা অলআউট হয় মাত্র ৫৫ রানেই। মঈন আলি নেন ২ উইকেট, আর শেষের চার উইকেট নিয়ে ক্যারিবীয়দের লেজটা মুড়ে দেওয়ার কাজটা সারেন আদিল রশিদ।
দুজনের স্পিন-বিষে নীল হয়ে উইন্ডিজ পায় নিজেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের লজ্জাটাও। এটা আরও বড়ও হতে পারত, নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসেই সর্বনিম্ন রানের লজ্জাটাও যে খুব কষ্টেসৃষ্টে এড়িয়েছে উইন্ডিজ! দুই বছর আগে এই ইংলিশদের বিপক্ষেই ৪৫ রানে অলআউট হয় দলটি। সেটা না হলেও নতুন এক বিস্মরণযোগ্য ইতিহাস রচনা করেন ক্রিস গেইলরা।
এর জবাব দিতে নেমে ইংল্যান্ডও ধুঁকেছে বেশ। ২১ থেকে ৩৯, এই ১৮ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে চার উইকেট। তাতে ম্যাচটাও জমে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছিল বেশ। তবে সব রোমাঞ্চ উবে যায় মরগ্যান আর বাটলারের জুটিতে। তাতে উইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সূচনাটা দারুণ হয় ইংলিশদের।