সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাচ্ছে লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। কাতার বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে আর্জেন্টিনা, চিলির মতো শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে পরীক্ষায় নামতে হবে ব্রাজিলকে।
ওইসব দলের বিপক্ষে কিনা খর্বশক্তির দল নিয়ে মাঠে নামবেন সেলেকাওরা। এ কারণ দুশ্চিন্তা ভর করেছে কোচ তিতের মধ্যে। দলের সেরা সব তারকাকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে।
জানা গেছে, কোয়ারেন্টিনের জটিলতা এড়াতে ফুটবলারদের ছাড়তে রাজি নয় ইংল্যান্ড, স্পেন, ইতালি ও পর্তুগালের ক্লাবগুলো।
তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের তিনটি ম্যাচের জন্য পূর্বঘোষিত দলে নতুন ৯ খেলোয়াড় যোগ করেছে ব্রাজিল।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট তিন ম্যাচের জন্য ২৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিলেন তিতে। সেখানে টোকিও অলিম্পিকে সোনাজয়ী দলের ৬ জনই রয়েছেন।
কিন্তু ক্লাবগুলোর আপত্তির কারণে ২৫ জনের মধ্যে ১৫ জনের খেলাই এখন অনিশ্চিত।
শেষ পর্যন্ত তাদের পাওয়া না গেলে বেকায়দায় পড়তে হবে। ঝুঁকি এড়াতে তাই শুক্রবার নতুন ৯ খেলোয়াড় দলে ডেকেছেন তিতে।
ডাক পেয়েছেন গোলকিপার এভেরসন ও সান্তোস, ডিফেন্ডার মিরান্দা, মিডফিল্ডার এদেনিলসন, গারসন ও নুনেস এবং তিন ফরোয়ার্ড হাল্ক, ম্যালকম ও ভিনিসিউস জুনিয়র।
খেলোয়াড়দের লাতিন আমেরিকায় যেতে দিতে রাজি নয় ইংলিশ ক্লাবগুলো। কারণ করোনার প্রকোপ ইউরোপে কমে গেলেও যুক্তরাজ্য সরকারের লাল তালিকায় এখনও রয়ে গেছে লাতিন আমেরিকার সব দেশ।
এই পরিস্থিতিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফ্রেদ, চেলসির চিয়াগো সিলভা, ম্যানচেস্টার সিটির এদেরসন ও গাব্রিয়েল জেসুস, লিভারপুলের আলিসন, ফাবিনিয়ো ও রবের্তো ফিরমিনো, এভারটনের রিশার্লিসন এবং লিডস ইউনাইটেডের রাফিনিয়াকে দেশে ফিরতে দেবে না ক্লাবগুলো। অর্থাৎ তারা ব্রাজিলের হয়ে না খেলার সম্ভাবনাই বেশি।
প্রসঙ্গত জুলাইয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হারের পর এ সপ্তাহে মাঠে ফিরতে যাচ্ছেন পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ২ সেপ্টেম্বর চিলি, ৫ সেপ্টেম্বর আর্জেন্টিনা ও ৯ সেপ্টেম্বর পেরুর মুখোমুখি হবে ব্রাজিল।