দেশের খ্যাতিমান লেখক আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এদেশে জন্মেছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বসবাস করতে পারছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার পথকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ঘাতকরা শেখ জামাল, শেখ কামাল, শিশু শেখ রাসেলের রক্ত নিয়ে হুলি খেলেছে কিন্তু আমাদের জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা ও স্বাধীনতার পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে “কৈশোর তারুণ্যে বই” এর সহযোগিতায় দেওভোগ বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ১০দিন ব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে। এজন্য বই পড়তে হবে। জ্ঞান অর্জনের জন্য বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বিদ্যানিকেতনে বই উৎসবের এ আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, আমাদের দেশে ইদানীংকালে নতুন প্রজন্ম বই পড়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে যা দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। তিনি শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের বেশি করে বই পড়ার আহবান জানান। আনিসুল হক বলেন, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষদের পেতে হলে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত তাঁদেরকে আমাদের পড়ার টেবিলে রাখতে হবে। তাহলেই কেবল বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
বিদ্যানিকেতন পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, এখন টেলিভিশনের প্রধান ও কৈশোর তারুণ্যে বই এর পরিচালক তুষার আব্দুল্লাহ, ফরিদ আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস সালাম, নারায়ণগঞ্জ কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. ফজলুল হক রুমন রেজা, বিদ্যানিকেতন ট্রাস্টের সদস্য ফয়সল আজিজ তুষার, প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা, শিফট ইনচার্জ সালমা আক্তার, শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।
দেশের প্রতিষ্ঠিত ৯টি প্রকাশনী সংস্থা এই বইমেলায় অংশ নিচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছে অনুপম, অনন্যা, জাগৃতি, কাকলী, এ্যাডর্ন, কথা, তা¤্রলিপি, ইকরি মিকরি, সময় সহ কয়েকটি প্রকাশনী সংস্থার স্টল। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে। আগামী ১৫ই আগস্ট বিকেল ৩টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম, এ মান্নান এমপি।