১৮ বছরের সংসারের ইতি টানার পর ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন ধানুশ। কনের নাম মীনা। তিনি দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা বেইলভান রঙ্গনাথনের একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। তাতে একটি এপিসোডে এসব তথ্য জানান তিনি।
২০২২ সালেই মীনার স্বামী বিদ্যাসাগর কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সন্তান নৈনিকা বিদ্যাসাগরকে একা হাতে সামলাচ্ছেন মীনা। ধানুশ এবার মীনার পাশে দাঁড়াতে চলেছেন। ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন ধানুশ। চলতি বছরের জুলাই মাসে মীনার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়বেন তিনি।
এসব তথ্য উল্লেখ করে অভিনেতা রঙ্গনাথন বলেন— ‘ধানুশ এবং মীনা চাইলেই বিয়ে করতে পারেন। একজন ডিভোর্সি, অপরজন বিধবা। ফলে আইন অনুসারে, বিয়েতে কোনো বাধা নেই। তা ছাড়া দু’জনে একা আছেন। বিয়ে করলে তো ভালোই হয়।’
গত বছরের শেষ লগ্নে মীনার দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। শোনা যাচ্ছিল, তার স্বামীর কোনো বন্ধুকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু এসব গুজব উড়িয়ে দেন নায়িকা। মীনা বলেছিলেন— ‘আমি এখনো স্বামীর মৃত্যুর শোক সামলে উঠতে পারিনি। এসব গসিপ বন্ধ করুন। আমাদের একা থাকতে দিন। তবে ধানুশের সঙ্গে বিয়ের জল্পনা শুরুর পর নীরব মীনা। অন্যদিকে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ধানুশ।
গত বছরের ১৭ জানুয়ারি মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে ডিভোর্সের ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে ধানুশ লেখেন, ‘১৮ বছর একসঙ্গে বন্ধু, দম্পতি, মা-বাবা ও শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে ছিলাম। উন্নতি, পরস্পরের প্রতি বোঝাপড়া, মানিয়ে নেওয়া, আয়ত্ত্ব করার একটা জার্নি ছিল। আজ এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে যেখানে আমাদের পথ আলাদা হয়ে গেছে। ঐশ্বরিয়া ও আমি দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিজেদেরকে আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য সময় নিচ্ছি।’ পাশাপাশি তাদের এই সিদ্ধান্তটিকে সম্মান জানানোর জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন ‘মারি’ সিনেমাখ্যাত এই অভিনেতা।
অপরদিকে, একই বিবৃতি পোস্ট করেন ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত। বিবৃতিতে তিনি নিজের নাম ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত লিখেছেন। ক্যাপশনে রজনীকান্ত কন্যা লিখেছেন, ‘কোনো ক্যাপশনের প্রয়োজন নেই। শুধু আপনারা বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করবেন এবং আপনাদের ভালোবাসা প্রয়োজন।’