বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে তদন্ত করার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। তিনি বলেছেন, কমিশন মনে করে এটি তাদের আইনি কাঠামোর মধ্যে পড়ে না।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী চিঠি দিয়েছিলেন।
বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে কমিশন দীর্ঘক্ষণ পর্যালোচনা করেছে। পর্যালোচনা করে যেই সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন সেই সিদ্ধান্তটি হলো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত কোনো রাজনৈতিক দল যে অডিট রিপোর্ট দাখিল করে, তা নির্বাচন কমিশন পরীক্ষা করে। বিএনপি যে অডিট রিপোর্ট দাখিল করেছে তাতে এমন কোনো তথ্য নেই যে, বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের জন্য কোনো অর্থ ব্যয় করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিদেশে অর্থ পাঠানো হলে তার তদন্ত করা নির্বাচন কমিশনের আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা নেই। নির্বাচন কমিশনের আইনি কাঠামোতে অর্থপাচার সংক্রান্ত কোনো তদন্ত করার বিষয় পড়ে না। তবে সরকারের যেসব এজেন্সি অর্থপাচারের বিষয়ে তদন্ত করতে পারে তারা তদন্ত করে রিপোর্ট দিলে পর্যালোচনা করে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
লবিস্ট নিয়োগ প্রমাণিত হলে কমিশনের এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ রকম বিষয় যদি প্রমাণিত হয় এবং কমিশনকে যদি জানানো হয়, তাহলে তা কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ও বেগম কবিতা খানম উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কমিশনে আসলেও বৈঠক শুরুর আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাতের সময় থাকায় এবং নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী অসুস্থ থাকায় আজকের সভায় অংশ নেননি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর, ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান ।