নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা বলেছেন, আমরা সৎ এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব বাছাই করবো। কারো চোখ রাঙ্গানিতে আমি আর আনোয়ার ভাই ভিত না। এই তৃণমূল আমাদের ওয়ারিশ। সামনে নির্বাচন, এখন থেকেই আমাদের প্রস্ততি নিতে হবে। আমাদের প্রচার করতে হবে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন, মহান স্বাধীনতার ইতিহাস।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর শেখ রাসেল পার্কে আয়োজিত ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খোকন সাহা বলেন, আমার অবাক লাগে যে, এই দেশে মানুষ কেন বিএনপি-জামাত করে। এটা আমাদের ব্যার্থতা। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যর পর, জিয়াউর রহমান দালালদের প্রতিষ্ঠিত করলো। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের প্রধানমন্ত্রী বানালো। তিনি অনেক প্রতিষ্ঠিত রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে এরশাদ সাহেব ক্ষমতায় এসে, সেই ধারাবাহীকতা বজায় রাখলেন। ম্যাডাম খালদা জিয়া ক্ষমতায় এসে, একশত দিনের কর্মসূচি ঘোষনা করলেন। ওই একশ দিনে হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হলো। সংখ্যালুঘুদের উপর নির্যাতন শুরু করলো।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বিদ্যুতের চাহিদা পুরণ করেছেন। ২০১১ সালে শেখ হাসিনা সমুদ্র বিজয় করেছে। তার নেতৃত্বে আদালতে কেস করে আমরা ৪০ হাজার বর্গমাইল সমুদ্র জয় করেছি। বাংলাদেশের মানচিত্রের প্রায় আরেকটা অংশ আমরা সমুদ্রে পেয়েছি। দেশ এতো উন্নয়ন হয়েছে যে বলে শেষ করা যাবে না। ভাতায় ছেয়ে গেছে বাংলাদেশ। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গুলোতে বিদ্যুতের দাম প্রায় তিনশত গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সেখানে আমাদের বিদ্যুতের দাম সামান্য বৃদ্ধি করেছে। আর এতেই বিএনপির বন্ধুরা লম্প-চম্প শুরু করেছে।
বিএনপির উদ্দেশ্যে এড. খোকন সাহা বলেন, আপনারা নির্বাচনের জন্য মাঠে নামেন। বিএনপি হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের হেফাজতকারী দল। তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। বিএনপিকে যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ট পোষকতার কারনে, তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।
এসময় ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রবিউল হোসেন, হান্নান আহমেদ দুলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম আরমান, জি.এম আরাফাত, সাংঠনিক সম্পাদক মাহমুদা মালা, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য নাজমুল আলম সজল, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, ১৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন প্রমুখ।