বিদ্রোহীদের হাতে দামেস্কের পতনের রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও তার পরিবার। তবে আসাদ ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে নিরাপদে কীভাবে রাশিয়ায় গেলেন, তা নিয়ে অনেকের কৌতুহল রয়েছে। রাশিয়ার কোথায় এখন আসাদের অবস্থান, তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে মানুষের।
আসাদের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে দেশটির উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ এনবিসি নিউজকে বলেছেন, রাশিয়ায় বাশার আল-আসাদ সুরক্ষিত। তাকে খুব নিরাপদে রাশিয়ায় আনা হয়েছে। তবে তিনি বিস্তারিত তথ্য দেবেন না।
মঙ্গলবার প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
সোমবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আসাদকে রাশিয়ায় আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিরিয়ার ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে আসাদের পতন ইরান এবং রাশিয়ার জন্য বড় ধাক্কা। পশ্চিমাদের ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার দাবি সত্ত্বেও আসাদের শাসনকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল মস্কাে এবং তেহরান।
রিয়াবকভ এনবিসিকে বলেছেন, ‘তিনি (আসাদ) সুরক্ষিত, এবং রাশিয়া এইরকম পরিস্থিতিতে প্রয়োজন অনুসারে কাজ করে’।
তিনি আরো বলেন, ‘আসাদ কীভাবে রাশিয়ায় এসেছে, কী ঘটেছে এবং কীভাবে এটি সমাধান করা হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন না’।
এর আগে এএফপির এক খবরে বলা হয়েছিল আসাদ রাশিয়ায় আছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ক্রেমলিন। উল্টো বলেছে, বিদ্রোহীরা দেশটি দখলে নেওয়ার ঘটনায় তারা ‘হতবাক’।
তবে আরটি জানিয়েছে, আসাদ কীভাবে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘রাষ্ট্রপ্রধানের অনুমতি ছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না, এটা তার (প্রেসিডেন্ট পুতিনের) সিদ্ধান্ত।’
রাশিয়ার জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক মিখাইল উলিয়ানভ সোমবার সকালে নিশ্চিত করেন, আসাদ ও তার পরিবার মস্কোতে আছেন। তিনি বলেন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রাশিয়া তার মিত্রদের প্রতি যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এটা তার প্রমাণ।
মিখাইল উলিয়ানভ আরও বলেন, ‘সংঘাতময় পরিস্থিতিতে রাশিয়া তার বন্ধুদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে না।… (রাশিয়া) যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়।’