বয়স নয়, স্টারডমই আসল—বিষয়টা ভারতের দক্ষিণী সিনেমায় স্পষ্ট। তামিল-তেলুগু ইন্ডাস্ট্রির নায়কেরা বার্ধক্যে চলে গেলেও নায়ক চরিত্র ছাড়েন না। রজনীকান্ত থেকে শুরু করে চিরঞ্জীবী, নাগার্জুনা, নান্দামুরি বালাকৃষ্ণ সবার ষাটের গণ্ডি পেরিয়েছেন বহু আগে। কিন্তু এখনও নায়কের ভূমিকায় বড় পর্দায় হাজির হন দিব্যি। ওদিকে তাদের ছেলেরাও ইতোমধ্যে নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছেন।
ফলে বেশ কিছু নায়িকার ক্ষেত্রে একটা ব্যতিক্রম নজির তৈরি হয়েছে। তা হলো, বাবা ও ছেলে দুজনের সঙ্গেই নায়িকা হিসেবে কাজ করেছেন তারা। দক্ষিণের সেই সুন্দরীদের মজার এই কাকতাল জেনে নেওয়া যাক…
শ্রুতি হাসান
২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ইয়েভাডু’ সিনেমায় রাম চরণের নায়িকা হয়েছেন তিনি। এরপর চলতি বছরের ‘ওয়াল্টার ভিরাইয়া’ সিনেমায় রাম চরণের বাবা চিরঞ্জীবীর সঙ্গে দেখা গেছে তাকে। বাবা-ছেলে দুজনের সঙ্গেই শ্রুতির রসায়ন দর্শক পছন্দ করেছে। ফলে দুটি সিনেমাই বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছে।
কাজল আগারওয়াল
তেলুগু সিনেমা ‘খিলাড়ি নম্বর ১৫০’-এ চিরঞ্জীবীর সঙ্গে অভিনয় করেছেন কাজল। ছবিটি বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পায়। অন্যদিকে রাম চরণের সঙ্গে তার একাধিক সিনেমা; যেমন- ‘মাগাধিরা’, ‘নায়ক’, ‘গোবিন্দুদু আন্দারি ভাডেলে’। বাবা-ছেলে উভয়ের সঙ্গেই নায়িকা চরিত্রে সফল তিনি।
তামান্না ভাটিয়া
‘বাহুবলী’ খ্যাত এই নায়িকাও রাম চরণ ও তার বাবা চিরঞ্জীবীর বিপরীতে কাজ করেছেন। ২০১২ সালে মুক্তি পায় রাম ও তামান্নার ‘রাচা’ ছবিটি। তবে বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে এটি। অন্যদিকে চিরঞ্জীবীর সঙ্গে তামান্নাকে দেখা যাবে ‘ভোলা শঙ্কর’ সিনেমায়। এটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১১ আগস্ট।
রাকুল প্রীত সিং
২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মান্মাধুদু’ সিনেমায় নাগার্জুনার সঙ্গে দেখা যায় রাকুলকে। কিন্তু ছবিটি সাড়া জাগাতে পারেনি। এরপর ২০১৭ সালে নাগার্জুনার পুত্র নাগা চৈতন্যের সঙ্গে ‘রারান্দোই ভেডুকা ছুধাম’-এ কাজ করে সাফল্য পান। ছবিটির বক্স অফিস কালেকশন বাজেটের চেয়ে দ্বিগুণ।
রাতি অগ্নিহোত্রী
১৯৮২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কালিযুগ রামুডু’ সিনেমায় এনটি রামা রাওয়ের সঙ্গে কাজ করেন এই অভিনেত্রী। এর দুই বছর পর তার পুত্র নান্দামুরি বালাকৃষ্ণের সঙ্গে কাজ করেন রাতি। ছবির নাম ‘শ্রীমাদ্ভিরাট ভীরাব্রহ্মান্দ্র স্বামী চরিত্র’। বাবা এনটি রামা রাওয়ের সঙ্গে ব্যর্থ হলেও ছেলে নান্দামুরির সঙ্গে রাতির রসায়ন দর্শকের মন জয় করেছিল।