বাদিপক্ষের ধাওয়া খেয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি চাপায় গুরুতর আহত হয়েছে গণধর্ষণ মামলার আসামীর। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে ১০টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ধাওয়া দেওয়া বাদি পক্ষের দু’ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন শহিদুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম।
গত ১৮ মার্চ শবে বরাত উপলক্ষে নানাবাড়িতে বেড়াতে যায় মেয়েটি। মোবাইল ঠিক করতে রাতে চিড়াইপাড়া এলাকার শুক্কুর আলী বাড়িতে যায় সে। এ সময় শুক্কুর আলীর ছেলে আলমগীর ও একই এলাকার মৃত শাহাজদ্দিন মিয়ার ছেলে রকি মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে মামলার পর থেকে আসামীরা পলাতক ছিল।
বন্দর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, মেয়েটির ভাই সাইফুল ইসলাম আর মামলার আসামী রকি পাশাপাশি এলাকায় থাকতেন। দু’জনই গাড়ি চালাতেন। সাইফুল ইসলাম ও তার ভাই শহিদুল ইসলাম গত কয়েক দিন ধরেই খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। ২২ মার্চ আসামী সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল স্ট্যান্ডে রকিকে দেখেন তারা। এ সময় রকি ভয়ে একটি চলন্ত গাড়ির ছাদে উঠে যায়। পরে শহিদুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম পিছু নিলে চলন্ত গাড়ির ছাদ থেকে লাফ দেন আসামী রকি। এ সময় গুরুত্বর আহত হলে কাঁচপুরের একটি হাসপাতালে দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে পুলিশ হেফাজতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আসামীর।
এদিকে, মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।