বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আগামী দিনগুলোতে আরো জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শ্রীলঙ্কা কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতির ঐতিহাসিক সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুক্রবার (০৪ মার্চ) ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
১৯৭২ সালের ৪ মার্চ শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বিস্তৃত হয়েছে এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের দুই দেশের মানুষের পারস্পরিক স্বার্থে বিশেষ করে কৃষি, বাণিজ্য, নৌপরিবহন, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক এবং পর্যটনের মতো বহু খাতগত সহযোগিতার মাধ্যমে এটি আরো বাড়বে।
তিনি বলেন, গত পঞ্চাশ বছর আমাদের অংশীদারিত্বে একটি দৃঢ় ভিত্তি প্রদান করেছে এবং আমি নিশ্চিত যে আমরা আগামী পঞ্চাশ বছর এবং তার পরেও সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ অঞ্চল গড়ে তুলতে আমরা একসাথে কাজ করবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত খুশি, শ্রীলঙ্কা আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু এবং অংশীদার হিসেবে থেকেছে।
তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে আমাদের অভিযাত্রায় শ্রীলঙ্কার অংশীদারিত্বকে আমরা গভীরভাবে মূল্য দিই।
শেখ হাসিনা বলেন, শ্রীলঙ্কার প্রাথমিক স্বীকৃতি নতুন উদীয়মান দেশটিকে অনেক মূল্যবান সমর্থন দিয়েছিল। তখন থেকে, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দেশের ঐতিহাসিক সংযোগ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বহু অভিন্নতা এবং সৎ প্রতিবেশীর চেতনার ভিত্তিতে সৌহার্দ্যপূর্ণ বন্ধুত্বের বন্ধন উপভোগ করে আসছে।
গত বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে যোগ দিতে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভিডিও বার্তায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, সুখ ও শান্তি এবং শ্রীলঙ্কার বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণের সমৃদ্ধি কামনা করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা মৈত্রী দীর্ঘজীবী হোক।