স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার চিতাশাল এলাকায় অবস্হিত জামেয়া গাউসিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা বাকীবিল্লাহ জালালী (রহঃ)’ র ২০ তম ওফাৎ বার্ষিকীর মাহফিল হয়েছে।পাকিস্তানের পাকতুনখোয়া (উত্তর পশ্চিম অঞ্চল) প্রদেশের পেশোয়ার সিরিকোট দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা, আফ্রিকার ক্যাপটন টাউনের সর্বপ্রথম মসজিদের দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা, মায়ানমারের রেঙ্গুন শহরের বাঙ্গালী সূন্নী মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা খতিব, বাংলাদেশের চট্রগ্রামের জামেয়া আহমদিয়া সূন্নীয়া কামিল (মাস্টার্স) মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা,কুতুবুল আউলিয়া, আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ আহমদ সিরিকোটি (রহঃ) ‘ র ৬৫ তম ওফাৎ বার্ষিকী একই ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে।জামেয়া গাউসিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদ্রাসা ময়দানে ২২ মে রাতে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কাছাউছা দরবার শরীফের পীর আওলাদে রাসুল ﷺ আল্লামা নুরানী মিয়া আশরাফী (মু:জি:আ:)। মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম বাদশার সভাপতিত্বে মাহফিল উদ্বোধন করেন আহলে সূন্নাত ওয়াল জামায়াত বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান শাইখুল হাদীস আল্লামা কাজী মাঈনুদ্দীন আশরাফী। আহলে সূন্নাত ওয়াল জামায়াতের সাবেক যুগ্ন মহাসচিব আল্লামা বাকীবিল্লাহ (রহঃ)’ র জ্যেষ্ঠ শাহজাদা, ঢাকার শাহজাহানপুরস্হ গাউসুল আজম জামে মসজিদের খতিব আল্লামা আব্দুল মোস্তফা রাহিম আলআযহারীর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন আহলে সূন্নাতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী মহাসচিব উপাধ্যক্ষ আল্লামা মুফতী আবুল কাশেম মুহাম্মাদ ফজলুল হক। বিশেষ বক্তা ছিলেন ঢাকার আশকোনার ওয়ালিয়া দরবারের আল্লামা ওয়ালী উল্লাহ আশেকী। মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত শিল্পপতি,
পিএইচপি ফ্যামিলির( শিল্প গ্রুপ) চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন নরসিংদীর পেশোয়ারী দরবারের পীর আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, ঢাকা আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সূন্নীয়া ট্রাস্টের জয়েন্ট সেক্রেটারি আলহাজ্ব আব্দুল মালেক বুলবুল,ঢাকা মহানগর গাউসিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ হোসাইন।মাহফিলে নারায়ণগঞ্জ কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, নাসিক কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোখলেসুর রহমান চৌধুরী, সেক্রেটারি আলহাজ্ব মোবারক হোসেন, জেলা গাউসিয়া কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আবু জাফর টিপু, সহ সভাপতি মাওলানা হাফেজ শফিকুর রহমান সিদ্দিকী,জেলা গাউসিয়া কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আবু সাঈদ কাদেরী, কেন্দ্রীয় আহলে সূন্নাতের দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আব্দুল হাকিম,জেলা আহলে সূন্নাতের আহবায়ক মাওলানা মহিউদ্দিন হামেদী,বন্দর আহলে সূন্নাতের সভাপতি মাওলানা মাহাবুবুল বাশার,বন্দর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আতিকুল ইসলাম, বন্দর জামেয়া গাউসিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদ্রাসার সুপারেনটেন্ড মাওলানা আবু নাসের মুসা, নারায়ণগঞ্জ কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদ্রাসার সুপারেনটেন্ড মাওলানা মাঈনুল হাসান, মাওলানা আব্বাসউদ্দীন, মাওলানা জহিরুল ইসলাম তাহেরী, হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।মাহফিলে মাদ্রাসার চলতি বছরের হেফজ সম্পন্নকারী তিন শিক্ষার্থীকে পাগরী প্রদান করা হয়। বক্তারা বলেন,রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ৩৯ তম বংশধর(আওলাদ) এবং আলেম,হাফেজ হয়েও সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রহঃ) মাদ্রাসায় পড়েন নি এমন পীর খাজা আব্দুর রহমান চৌহরভী(রহঃ)’ র নিকট মুরীদ হন।খোয়াজ খিজির (আঃ)’ র ফয়ুজাত প্রাপ্ত আব্দুর রহমান চৌহরভী(রহঃ)’ র এবং ওনার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় খেদমতদার হিসেবে সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রহঃ) কাজ করে পীরের খাটি মুরীদ হিসেবে সনদ নিয়েছেন।খাজা আব্দুর রহমান চৌহরভী(রহঃ)’ লেখা পড়া না জানলেও কুরআন শরীফ, বুখারী( হাদিস) শরীফের পর দরূদ শরীফের ৩০ পারা কিতাব ( অদ্বিতীয় ) মজমুয়ায়ে সালাওয়াতে রাসুল (দঃ) লিখেছেন।আর সেই কিতাব মুদ্রনে সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রহঃ) দায়িত্ব পালন করেন। সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রহঃ) আফ্রিকায় অসংখ্য বিধর্মীকে মুসলমানে রূপান্তরীত করার পর মসজিদ নির্মান করেন।মায়ানমারের রেঙ্গুনে সূন্নী বাঙ্গালী মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশের চট্রগ্রামে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ জামেয়া আহমদিয়া সূন্নীয়া কামিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।ওনি দুনিয়াব্যাপি মানুষকে জান্নাতি বানাতে মসজিদ নির্মান ও কুরআন-সূন্নাহ-ইজমা কিয়াস শিক্ষা দিতে মাদ্রাসার পাশাপাশি তরিক্বত চর্চার জন্য হাজারো খানকাহ শরীফ প্রতিষ্ঠা করেন।সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রহঃ) শরীয়ত,তরিক্বত, মারিফত, হাকিক্বত সম্পন্ন ওলী।ওনি কুতুবুল আউলিয়া। বক্তারা বলেন,সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রহঃ)’ শাহজাদা এবং প্রধান খলিফা গাউসে জমান,হাদীয়ে দ্বীন ও মিল্লাত, রাহনুমায়ে শরীয়ত তরিক্বত, আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ তৈয়্যব শাহ (রহঃ) ‘ র মুরীদ
মাওলানা বাকীবিল্লাহ জালালী সারা দেশে ইসলাম ধর্মের সঠিক রূপ সূন্নীয়ত ও গৌসিয়ত প্রচার করেছেন।তিনি খারেজী,শিয়া, ওয়াহাবী, কাদিয়ানী,সালাফি, থানভি,কাসেমি,কওমী,মওদুদী ফেৎনার মুখোশ উন্মোচন করতে আমৃত্যু লড়াই করেছেন।তিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মসজিদ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার এক পর্যায়ে বন্দর জামেয়া গাউসিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।মাওলানা বাকীবিল্লাহ (রহঃ) মসজিদের খতিব,মাদ্রাসার শিক্ষক,তরিক্বতের খাদেম এবং রাজনীতির ময়দানের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি সূন্নী মতাদর্শ ভিত্তিক ইসলামী সমাজ গঠনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।তিনি২০০৪ সালের ২২ মে রাতে নিখোঁজ হয়ে সকল স্বপ্ন অনুসারীদের কাছে রেখে গেছেন।