স্টাফ রিপোর্টারঃ নব্বইভাগ মুসলিম বাংলাদেশের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দিঘলদী গ্রামে আস্তানা গড়ে তোলেন বাঁশের কেল্লা দরবার শাহিন ওরফে ( লাঠিবাবা ) নামে পরিচিত।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দিঘলদী গ্রামের প্রাইমারী স্কুলের পিছনে ডিস স্বপনের একটি আশ্রিত বাড়িতে আস্তানা গড়ে তোলেন শাহিন ওরফে লাঠিবাবা। আস্তানার নাম দেন বাঁশের কেল্লা দরবার। সরজমিনে গিয়ে আরো দেখা যায় দরবারের প্রবেশ গেইটে দুইটি বড় বড় সিসি ক্যামেরা এবং চারোদিকে সিসি ক্যামেরা ও কাঁটাতারের ভেড়ায় মোড়ানো, ভিতরে নিরাপদে থেকে কুফরি চালান দিয়ে লক্ষ্যে অনুযায়ী ধর্মান্ধ করে তোলেন এই লাঠিবাবা।
ঐ এলাকার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার জসিম জানান কোথায় থেকে যেন হুট করে এসে এখানে আস্তানা গড়ে তোলেন আর এলাকার সহজ সরল স্বল্প শিক্ষিত নারী পুরুষদের টার্গেট করে সাপ্তাহিক ভোজ নামে খাবারের আয়োজন করে। তিনি বলেন আমার মনে হয় ঐ খাবারের মধ্যেই মিশিয়ে রাখেন তার কুফরি চালানের বিষয়বস্তু। শুধু তাই নয় তার কাছে গেলে মানুষ মসজিদ ছেড়ে দেয়। এবং নারীরা স্বামীর আনুগত্য ছেড়ে দিয়ে লাঠিবাবার দরবারে এসে পরে থাকেন।
ইঞ্জিনিয়ার আরো বলেন লাঠিবাবা এই এলাকায় আসার পরে বাহিরে বের হতে দেখিনাই কখনো নামাজ তো পরেই না। বরং আমরা জেনেছি তার দুইটা স্ত্রী সাথে রেখেও রাতের আধারে জ্বীন ভূত তাড়ানোর নাম করে রঙ্গ লিলাল মেতে উঠেন এই লাঠিবাবা।
এলাকাবাসী জানান আমাদের এলাকার স্থানীয় ডিস ব্যবসায়ী স্বপন তাকে শেল্টার দেওয়ার কারনে এখনো পর্যন্ত এলাকাবাসী চুপ হয়ে আছে নয়তো নারী লিপসু ভন্ড কুফরিবাজ কিভাবে আস্তানা গড়ে তোলে থাকেন। আমরা দেখে নিতাম। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের প্রতি আহব্বান জানাচ্ছি এই ধরনের কুফরিবাজ ধর্মান্ধক ব্যক্তি যদি এলাকায় থাকে তাহলে যেকোন সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে ধারনা করা যায় জঙ্গি আস্তানা ও হতে পারে। তাই আপনাদের দৃষ্টি জরুরী কামনা করছে এলাকাবাসী।