নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ড থেকে ২৭ নং ওয়ার্ড পর্যন্ত আওয়ামীলীগ সাংগঠিনক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়ছে। গ্রুপিং ও লবিং এবং আন্তঃকোন্দলের কারণে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের গত নির্বাচনে বন্দরের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ২টি ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ সর্মথিত কাউন্সিলরা জয়লাভ করতে সক্ষম হলেও বাকি ৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টি ওয়ার্ডে বিএনপি ও ১টি জাতীয় পার্টির সর্মথিত কাউন্সিলররা জয়লাভ করে। এ থেকে বুঝা যায় যে আওয়ামীলীগ এখানে কতটা দূর্বল।
তৃনমূল নেতাদের অভিযোগ মহানগর আওয়ামীলীগের র্শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ বন্দরে ৯টি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন না করে তৃনমূল্য নেতাদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দরে এক আওয়ামীলীগ নেতা গনমাধ্যমকে আরো জানিয়েছে, বন্দরে ১৯ নং ওয়ার্ড থেকে ২৭ নং ওয়ার্ড পর্যন্ত তৃনমূল্য আওয়ামী লীগের মধ্যে গ্রুপিং ও আন্তঃকোন্দলের কারনে আওয়ামী লীগের শক্তি বিনষ্ট হচ্ছে।
দলীয় আন্তঃকোন্দলের কারনে ভোটের রাজনিতীতে আওয়ামীলীগ আগের তুলনায় অনেক পিছিয়ে পড়ছে। হাইব্রিড ও কাউয়াদের কারনে আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতারা আর রাজনিতীতে সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে না। চাপা ক্ষোভ ও অভিমান নিয়ে বহু আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মী রাজনীতি থেকে সরে আসছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জানায়, কতিপয় কিছু হাইব্রিড নেতাদের কারনে আওয়ামী লীগ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পরেছে। তারা গোপনে গোপনে বিএনপি নেতাদের সাথ্যে সখ্যতা তৈরি করে চলছে।
এ অবস্থা থেকে ঐহিত্যবাহী সংগঠন আওয়ামী লীগকে বাঁচানোর জন্য জেলা আওয়ামীলীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে তৃনমূল নেতাকর্মীরা।