বন্দরে ৮ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান (৪০)’কে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ।রবিবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত সোয়া ১ টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নস্থ মাধবপাশা ভাড়াবাসা হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় বাড়ীর মালিক মাদক সম্রাট মাহমুদনগরএলাকার সবুজ (৩২) ও *বিল্লাল (৩৫) পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃত হচ্ছেঢাকা জেলার কামরাঙ্গীরচর থানাধীন ডিএমপির নুরবাগ তাঁতি বাড়ী গলি লোহারব্রীজ’র ঢাল এলাকার নুর ইসলাম এর এর ছেলে বর্তমানে বন্দর থানাধীন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন এর ২ নং মাদবপাশা এলাকার সবুজ এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া। সবুজ উল্লেখিত মামলার ২ নং পলাতক আসামী।
এ ঘটনায় অভিযান পরিচালনাকারী অফিসার থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোঃ সাইফুল আলম পাটোয়ারী ধৃতসহ পলাতকদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করেছে।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, বন্দর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. সাইফুল আলম পাটোয়ারী, সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ বন্দর থানার জিডি নং-৮০২, মূলে থানা এলাকায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা তামিল, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করাকালীন সময়ে বন্দর থানাধীন মদনগঞ্জ এলাকায় অবস্থানকালে রাত অনুমান পৌনে ১ টায় বিশ্বস্ত সূত্রে সংবাদ পায় যে, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ২নং মাধবপাশা এলাকায় গ্রেপ্তারকৃত আসামির ভাড়াটিয়া বাড়িতে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে।
বিষয়টি তাৎক্ষনিক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে থানার অফিসার ইনচার্জসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে দ্রুত উল্লেখিত স্থানে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড় দিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে সঙ্গীয় অফিসারদের সহায়তায় ১নং ধৃত আসামী মেহেদী হাসান (৪০) কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তাহার বর্ণিত নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে এবং দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়া পলাতক আসামী মো. সবুজ (৩২), মো. বিল্লাল (৩৫) এর নাম ঠিকানা প্রকাশ করে।
গ্রেপ্তারের পর সে জানায় তার ভাড়াটিয়া টিনসেড চৌ-চালা টিনের বসত ঘরের সামনে এবং বাউন্ডারী ওয়ালের ভিতরে মাটির নিচে গাঁজা রক্ষিত আছে। পরে মাটি খুঁড়ে ৩২ টি সাদা পলিথিনের প্যাকেট, প্রতি প্যাকেটে ২৫০ গ্রাম করে মোট ৮ কেজি গাঁজা (প্রতি কেজি বিশ হাজার টাকা করে সর্বমোট ৮ কেজি গাঁজার আনুমানিক মুল্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা) উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী মেহেদী হাসান ও পলাতক আসামি মো. সবুজ এবং মো. বিল্লাল (৩৫) গন পরস্পর যোগসাজসে কুমিল্লা বর্ডার এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা এনে বন্দর থানা এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় পাইকারী ও খুচরা দরে বিক্রি করত । তারা পেশাদার মাদকদ্রব্য গাঁজা ব্যবসায়ী। মাদকদ্রব্য গাঁজা বিক্রয় করিয়া অত্র এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।