বন্দরে বহুরুপী নারী আছমা ওরফে শীলা বেগমের প্রতারণার ফাঁদে পরে সর্বস্ব হারিয়ে চরম বিপাকে পরেছে ভূক্তভোগী ৩য় স্বামী আব্দুর রশিদ রাজু মিয়া। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী স্বামী রাজু মিয়া বাদী হয়ে শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী দায়ের করেন। যার ডায়রী নং- ২১৮ তাং- ৫-১১-২২ইং।
সাধারন ডায়রী জানা গেছে, গত ১৩ বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক গড়েতোলে বন্দর উপজেলার আলীনগর এলাকার মৃত ডাঃ তৈয়ব হোসেন মিয়ার ছেলে আব্দুল করিম রাজু মিয়ার সাথে একই উপজেলার আলীসারদী এলাকার মনির হোসেন মিয়ার মেয়ে আছমা আক্তার ওরফে শীলা ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করে।
রাজুকে বিয়ে করার পূর্বে বহু রুপী নারী আছমা আক্তার শীলা আরো ২টি বিয়ে করে। তার ২য় সংসারের ৪ বছরের মেয়ে লামিয়া আক্তার সিন্থি ৩য় স্বামী রাজু পরিচয়ে বড় হয়ে উঠে। বিয়ের পর থেকে ২নং বিবাদী শালিকা মুন্নী কুপরামর্শে বিভিন্ন সময়ে বহুরুপী নারী আছমা বেগম ওরফে শীলা ৩য় স্বামী আব্দুল করিম রাজুকে নানা ভাবে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে।
গত ৪ মাস পূর্বে বহুরুপী নারী শীলার ২য় সংসারের মেয়ে সিন্থিকে ৩য় স্বামী রাজুর নিজ খরচে সামাজিক ভাবে বিয়ে দেয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৫ সেপ্টম্বর ভোর ৫টায় ৩য় স্বামী রাজুকে ঘুমান্ত অবস্থায় রেখে শালিকা মুন্নি কুপরামর্শে বহুরুপী নারী আছমা ওরফে শীলা বেগম ৩য় স্বামী রাজু জমানো নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে অন্যত্র স্থানে পালিয়ে যায় ।
এ ঘটনায় ভ’ক্তভোগী স্বামী তার স্ত্রীকে খোঁজাখুজি শুরু করলে খবর পেয়ে বহুরুপী নারী আছমা ওরফে শীলা বেগম আরো বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে মোবাইল ফোনে জানায় খোঁজাখুজি করে কোন লাভ নেই। আমি তোর সংসার করব না। বেশী বারাবারি করলে যৌতুক ও নারী শিশু নির্যাতন মামলা দিয়ে জেল খাটানোর হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে ভ’ক্তভোগী স্বামী রাজু জানান, বহুরুপী নারী আছমা ওরফে শলি বেগম বিয়ে তার একটি নেশা এবং পেশা। আমি তার ৩য় স্বামী। সে অনেক সংসার ধ্বংশ করেছে।
আমিও একজন ভ’ক্তভোগী। আমার টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে গেছে। তারপারও সব কিছু মেনে আমি আনতে চাইলে আমাকে নানা ভাবে হুমকি দামকি অব্যহত রেখেছে।