বন্দর মহানগর (৯ টি ওর্য়াড) থানা যুবলীগের রাজনীতি প্রায় নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ছে। ক্ষমতাসীন দলের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী সংগঠন যুবলীগের কমিটির সময়কাল প্রায় দেড় যুগ গত হতে চলছে।
২০০৪ সালে বন্দর সাবেক ( কদম রসুল পৌর যুবলীগের) কমিটির হুমায়ন কবির চৌধুরী ও কাজী জহিরকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ নাম প্রকাশ করা হয়।
কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী জহির রাজনীতিতে এখনো অনেকটা সক্রিয় থাকলেও সভাপতি হুমায়ন কবির চৌধুরীসহ কমিটির অধিকাংশ নেতা নীরব ভূমিকা/নিস্ক্রিয় অবস্থায়।
কেউ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বলয়ে রুপ নিয়ে ঠিকাদারিসহ অন্যন্য কাজ করে নিজের আখের গুছিয়ে নেওয়ার প্রমান রয়েছে।
বন্দর পৌর যুবলীগের কোন কার্যালয় নেই। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় প্রায় ১৪ বছর ৫ মাস আর কমিটির মেয়াদকাল ১৯ বছর তারপরও নেতাকর্মীদের বসার জন্য একটি কার্যালয় নেই। নারায়ণগঞ্জ -৫ (সদর-বন্দর) আসনে দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে জাতীয় পার্টির সাংসদ।
২০০৮ সাল হতে ২ বার নাসিম ওসমান এমপি থাকাকালে ২০১৪ সালে তার মৃত্যু হওয়ার ফলে উপ নির্বাচনে সেলিম ওসমান একই ব্যানারে এমপি নির্বাচিত হন।
দল ক্ষমতায় আওয়ামীলীগ আর স্থানীয় এমপি জাতীয় পার্টির হওয়ায় সংগঠনের অনেকটা নিস্ক্রিয়তা দেখা মিলেছে। আবার রাজনীতিতে একাধিক বলয় হওয়ার ফলে কর্মী মূল্যায়ন নেই বললেই চলে।
রাজনীতিতে যে কয়েকজন সক্রিয় তার বেশিরভাগই সুবিধা ভোগী। সুবিধা ভোগীরা সংগঠন বা আদর্শচ্যুত হয়ে নিজেদের আখের গুছানোর প্রমানসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
তবে একাধিক সূত্রে জানা গেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের ১/২ টি কমিটি ঘোষণা হতে পারে।
শোকের মাস আগষ্টে কমিটি ঘোষণা না হলেও সেপ্টেম্বর মাসে কমিটি অনুমোদন হতে পারে। আওয়ামীলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি ও সেচ্ছাসেবকলীগের কমিটি ঘোষণা হতে পারে। নির্বাচনকালীন বছরে তেমন কোন নতুন কমিটির অনুমোদন নাও হতে পারে।
সূত্রগুলোর তথ্য মিল থাকলে বন্দর ক্ষমতাসীন দলের সংগঠনগুলোর তেমন কোন পরিবর্তন হবে না। বরং আরো নিস্তব্ধতা দেখা মিলবে বলে প্রবীণ নেতাদের ভাষ্য।
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় প্রায় ১৪ বছর ৫ মাস গত হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের ক্লাবে চায়ের দোকান কেন। বন্দরের মহানগর এলাকার ৯ টি ওর্য়াডের মধ্যে আওয়ামীলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের নিজস্ব কোন কার্যালয় নেই।
নাসিক ২২ নং ওর্য়াড বন্দর প্রেসক্লাব সংলগ্ন বন্দর শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ ক্লাবটি এখন চায়ের দোকান ও হোটেলে পরিনত হয়েছে। ক্লাবের অস্বস্তি নষ্ট করে চায়ের ও হোটেলের মাসিক ভাড়া যায় কার পকেটে। দল ক্ষমতায় থাকার পরও ক্লাবটি কিভাবে হোটেলে রুপ নিল।
বন্দর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জহিরের দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। কাজী জহিরের লোক উজ্জ্বল ওরফে কাইল্লা উজ্জ্বলের পকেটে যায়। সংগঠনের জায়গাটি উদ্ধার পূর্বক ক্লাব নির্মানের দাবী অনেকের।
তবে যে জায়গাটিতে ক্লাব ছিল তা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান। মামলার বাদী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জহির। মামলা চলমান থাকার ফলে এখানে কোন প্রকার স্থাপনা নির্মান করা নিষেধঙ্গা জারি করেছে আদালত।
তবে অচিরেই রায় পাওয়ার আশা কাজী জহিরের। তারপর নিজস্ব জায়গায় দলের একটি ভালভাবে কার্যালয় করা হবে বলে তিনি জানান।
বন্দর সাবেক পৌর যুবলীগের রাজনীতিতে নিস্তব্ধতার শীর্ষে অবস্থান করছে। দলীয় কার্যালয় যখন চায়ের দোকান! তখন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এরচেয়ে ভাল হওয়ার কোন প্রকার অবকাশ থাকে না।
নাসিক ২২ নং ওর্য়াড বন্দর প্রেসক্লাব সংলগ্ন বন্দর শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ ক্লাবটি এখন চায়ের দোকান ও হোটেলে পরিনত হয়েছে।
ক্লাবের অস্বস্তি নষ্ট করে চায়ের ও হোটেলের মাসিক ভাড়া যায় কার পকেটে। যে ক্লাবটি ২০০১ সালে প্রয়াত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম উদ্বোধন করেছিল।
ওই সময় প্রয়াত কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা প্রয়াত নাজমা রহমান, বহুরূপী সাবেক সাংসদ এস এম আকরাম, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন খান, কাজী জহির, ইউসুফ ভূইয়া ননী, মিয়া বাবুসহ আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।