নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা বন্দর থানাধীন বিভিন্ন মৌজার সরকারি ও মালিকানাধীন ব্যক্তির জমির ভরাট মাটি প্রকাশ্যেদিবালোকে ও রাতের আঁধারে অবৈধ ভাবে জোড় পূর্বক কেঁটে নেয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে যাচ্ছে। এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ অনৈতিক কাজ করছে বলে ভুক্তভোগী’র দাবী।
ঘটনার সূত্রে যানা যায়, বন্দরের দেউলি চৌরাপাড়া সোমবাড়িয়া বাজার এলাকার মৃত গাজী মুশফিকুর রহমান লিটন এর পুত্র মোঃ শাওন রহমান (২৮) এর দাসেরগাঁও মৌজার ৩০ শতাংশ ফসলি জমির মাটি জোড় পূর্বক অবৈধভাবে বেকু দিয়ে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে শাওন বাধা দিতে গিয়ে নাজেহাল ও মারধরে জখম হন। সেই সাথে প্রাণে মেরে লাশ গুম করে দিবে বলে হুমকির শিকার হন।
ঘটনার বিবরনে ভুক্তভোগী শাওন রহমান বলেন, আমার পিতা মরহুম গাজী মুশফিকুর রহমান লিটন তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পাঠানটুলী এলাকার বাসিন্দা মোসাঃ রহিমা খানম (৬৪) নিকট থেকে জমিটি গত কয়েক বছর আগে বায়না করে, বায়না সূত্রে মালিক হয়ে জমির দখল বুজে নিয়ে ভোগদখল করতে থাকে। কিন্তু আমার পিতা হঠাৎ মৃত্যু বরণ করে। পিতার মৃত্যুর পর আমরা জমিটি সাব কাবলা রেজিস্ট্রার করতে বললে মোসাঃ রহিমা খানম তালবাহানা শুরু করে এবং সময় অতিক্রম করে।আমরা রহিমার তালবাহানায় বিরক্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে জমির মালিকানা বুজে দিতে একটি মামলা করি। যুগ্ম জেলা জাজ ১ম আদালত দেওয়ানী মোকদ্দমা -৭৪/২২।
রহিমা আমাদের এ কাজে রাগান্বিত হয়ে কুট কৌশলে আমাদেরকে বিভিন্ন সময়ে নানা ভাবে নাজেহাল ও হয়রানি করতে থাকে। গত ১৯ নভেম্বর রহিমা খানম ও তার স্বামী মোঃ হাফিজ উদ্দিন ( ৭০) এর যোগসাজশে দাসেরগাঁও এলাকার মনির মিয়া’র পুত্র বিএনপি নেতা একাধীক মামলার আসামী ভুমিদুস্য পলাশ (৪৫) তার সঙ্গীয় দলবল নিয়ে দুপুরে বেকু দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যায় বলে আমি জানতে পাই ।আমি এ সংবাদ পেয়ে জমিতে গিয়ে তাদের মাটি কাটতে নিষেধ করি।কিন্তু তারা আমার কথা না শুনে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধোর করে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। স্থানীয় এলাকার লোকজন আমাকে তাদের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। তাৎক্ষণিকভাবে আমি বিষয়টি অনেককেই জানাই। কোন প্রতিকার পাইনি। তাই অসহায় ও নিরুপায় হয়ে ২৪ নভেম্বর শুক্রবার তাদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ করি। ইতিপূর্বেও রহিমা খানমের যোগসাজশে ভুমিদুস্য পলাশ বাহিনী বেকু দিয়ে এ জমির মাটি কেটে নিয়েছিলো। আমি আইনের ন্যায় বিচার কামনা করছি ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয় অভিযুক্ত পলাশের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এ জায়গা ভাড়া নিছি এবং আমি মাটি বেকু দিয়ে কেঁটে নিছি সত্য তবে ওই জায়গায় মাটি আমি রেখেছিলাম সেগুলো কেঁটে নিয়ে আসছি।
এ বিষয়ে ঘটনার তদন্ত দ্বায়িত্বে বন্দর থানার এস আই সামাদ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।