নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানা জমির ভরাট মাটি জোড় পূর্বক কেঁটে নিয়ে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন ভূমিদস্যু পলাশ। তার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একাধিক অভিযোগ থাকলেও কোন তোয়াক্কা না করে বীরদর্পে তার সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে একের পর এক জমির মাটি কেঁটে ফসলি জমিকে খাল খদ্দে পরিনত করে চলছে। পলাশের এ অবৈধ কাজে বাধা দিতে গেলে জমির মালিককে মারধরসহ বিভিন্ন হায়রানি হতে হচ্ছে। পলাশ ও তার বাহিনী এতটাই ক্ষমতাধর হিসেবে নিজেদের দাবী করে থাকে কেউ তাহাদের বিরুদ্ধে আইনের সহযোগিতা নিতে গেলেও কোন ফল পাবে না। কেননা সে প্রশাসনের লোকজন ও স্থানীয় নেতাদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে এ অবৈধ মাটিকাঁটার ব্যবসা করে থাকে। এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, বন্দর দাসেরগাঁও এলাকার মনির মিয়া’র পুত্র বিএনপি নেতা ভূমিদস্যু পলাশ(৪৫) তার সঙ্গীয় সুমন,বাবলু সহ আরো ১৫/২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল রয়েছে। এরা সংঘবদ্ধ হয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে থাকে। তাদের কাজে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে নানাভাবে নাজেহালের শিকার হতে হয়। তারা দেশীয় অস্রে সজ্জিত হইয়া অবৈধ কাজে পাহারা দিয়ে মানুষের মনে ভয় ভীতি সৃষ্টি করে।
পলাশ বিএনপির দলীয় লোক হয়েও আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে আঁতাত করে বীরদর্পে অনৈতিক কাজ করে চলছে। এ পর্যন্ত জোড় পূর্বক মাটি কাঁটার জন্য পলাশসহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে জমির মালিকর পক্ষ থেকে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে প্রাণের ভয়ে নিশ্চুপ হয়ে রয়েছে।পলাশের এমন অত্যাচারে এলাকার অনেকে বিরক্ত। পলাশ বাহিনীর নির্যাতনের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। কিছুদিন পুর্বে এক মৃত স্কুল মাস্টারের জমির মাটি কেঁটে নিয়ে গেছে বাধা দিয়েও লাভ হয়নি।পরে গত ২৪ নভেম্বর মৃত স্কুল মাস্টার মুশফিকুর রহমান লিটন এর ছেলে মোঃ শাওন রহমান ভুমিদস্যু পলাশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয় পলাশের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি জায়গা ভাড়া নিয়ে ওখানে মাটি রাখছি সেগুলো আবার বেকু দিয়ে কেঁটে তুলে নিছি।
বন্দর থানায় যোগাযোগ করা হলে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সামাদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর দাবী নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে ঘটনার সত্যতা অনুসন্ধানের মাধ্যমে অপরাধী পলাশ ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করে শাস্তির আওতায় আনা হোক। তার এ অবৈধ মাটি কাঁটায় বাধা না দিলে জমির আকৃতি পরিবর্তন হয়ে অনাবাদি ও খাল বিল ডোবায় পরিনত হয়ে বড় ধরনের ক্ষতি হবে বন্দববাসীর।