বন্দরে ২৪নং ওয়ার্ডে দেউলী চৌড়াপারা এলাকায় আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নানা অপকর্মের হোতা আমজাদ হোসেন ওরফে বল্টু আমজাদ। বল্টু আমজাদের নেতৃত্বে প্রতিদিনই কোন না কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে ওই এলাকায়।
তার নির্যাতনের খড়গ থেকে রেহাই পায়নি দিনমজুর পিয়ার হোসেন। সন্ত্রাসী বল্টু আমজাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা চালায় দিনমজুর পিয়ার হোসেনের উপর। পিয়ার হোসেন এর প্রতিরোধ করলে সন্ত্রাসী আমজাদ ও তার ছেলে আপনের হাতে থাকা রামদা ও টেটা দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এসময় পিয়ার হোসেনের ভাতিজা ইমরান ও তার ২ ভাই সুজন ও নাজির নিরিহ দিনমজুর পিয়ার হোসেনকে বাঁচাতে এলে হামলাকারীরা তাদেরকেও লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে আহতদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আসামীরা হত্যার হুমকিসহ পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রæয়ারি) বিকেলে আহতের বড় ভাই রুবেল বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরআগে গত ২ ফেব্রæয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে চৌরাপারা এলাকায়।
জানাগেছে, গত ২ ফেব্রæয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে দেউলী চৌরাপারা আকিজ কোম্পানীর নির্মানাধীণ প্রজেক্টে বক্তারকান্দী এলাকার আব্দুল মতিন মিয়ার ছেলে দিনমজুর পিয়ার হোসেন মজুরের কাজ করছিল।
ওই সময় আকিজ কোম্পানীর ঠিকাদারী কাজ না পেয়ে পূর্ব শত্রæতার বিরোধে বক্তারকান্দী এলাকার আব্দুল মতিন মিয়ার ছেলে দিনমজুর পিয়ার হোসেনের সঙ্গে সন্ত্রাসী বল্টু আমজাদের ছেলে মাদকসেবী আপনের কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতিতে রুপ নেয়। খবর পেয়ে সন্ত্রাসী আমজাদ হোসেন ওরফে বল্টু আমজাদের নেতৃত্বে তার ছেলে হৃদয়, একই এলাকার শফিউদ্দিনের ছেলে জুয়েল, রুবেল এবং আনোয়ার মিয়ার ছেলে রাব্বিসহ ১৫/২০জনের একটি সংঘবদ্ধ দল সাবল, লোহার রড ও টেটা নিয়ে নোয়াদ্দাস্থ আকিজ কোম্পানির সামনে অবস্থান নেয়। পরে দিনমজুর পিয়ার হোসেনের গতিবিধি লক্ষ করে পথরোধ করে মারধর করতে থাকে।