গতকাল(২৫ ডিসেম্বর)শনিবার দুপুরে বন্দর রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টার সংলগ্ন বাবা সামছুল হুদা দ্বীনে মোহাম্মদী (সাঃ)প্রচার কেন্দ্রের উদ্যোগে হযরত ঈসা (আঃ) জন্মদিবস উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন দ্বীনে মোহাম্মদী (সাঃ)এর প্রচার কেন্দ্রের প্রচারক গুরু বাবা গোলাম মর্তুজা। এসময় হযরত ঈসা( আঃ) এর শুভ জন্মদিনের (বড় দিন) লিখিত তাৎপর্য পাঠ করেন।
তাৎপর্য নিন্মে তুলে ধরা হলো–
মাগিতেছি ভিক্ষা গুরু বাবার চরণ ধূলি হইতে, পাইতে মুক্তি জন্মের বন্ধন হইতে চরতরে। নিয়েছি জন্ম প্রাকৃতির জাত স্বভাবে। চলিতেছে এ পার্থিব জগত প্রাকৃতির আওতাধীনে। হইতেছে জন্ম-মৃত্যু মানুষের এমনিই ভাবে। ছয় চিজে বা ছয় নূরে বা ছয় বস্তুর গুন ক্রিয়াই এই দেহ ভ্রমান্ড ও পার্থিব ভ্রমান্ড সৃষ্টি। যেমন- ১। আগুন বস্তুর গুন ক্রিয়া ২। বাতাস বস্তুর গুন ক্রিয়া ৩। শূন্যবস্তুর গুন ক্রিয়া ৪। মাটি বস্তুর গুন ক্রিয়া ৫। পানি বস্তুর গুন ক্রিয়া। পানি বস্তুর গুনক্রিয়া আবার দুই ভাগে বিভক্ত। যথা: (ক) জাহেরে (খ) বাতেনে। (ক) জাহেরে: আমরা যে পানি দ্বারা পার্থিব জগতের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করি তাহা জাহেরে। (খ) বাতেনে: অনু হইতে পরমানু জীবের জীবানু সৃষ্টি হইয়া সৃষ্টি এমনিই প্রকাশ হইতেছে তাহাই বাতেনে। আগুন বস্তুর উৎখাতে বাকি পাঁচ বস্তুর অধিকারীত্বে–সৃষ্টির সেরা মানুষ। আগুন বস্তুর গুন ক্রিয়াই রূহে হায়ানি বা জীবাত্মা বা ইবলিশ শয়তান, যাহা আঠারো হাজার সৃষ্টির মধ্যে একই ভাবে বিদ্যমান। আলিফ্-লাম্-মীম্, যালিকাল কিতাবু লা রাইবা ফিহি; হুদাল্লিল মুত্তাক্বিন। (সূরা বাক্বারাহ, আয়াত-১,২) আল্লাহর প্রতীক আলিফ্, লাম্- এর প্রতীক লোক এবং মীম্ এর প্রতীক রাসূল। যখন লাম- এর সাথে আলিফ এবং মীম সার্বক্ষনিক বিরাজমান, অর্থাৎ চিরন্তন সত্য আল্লাহ-রাসূলকে যিনি লাভ করিতে সক্ষন হন, তখন তিনি সৃষ্টির সেরা মানুষ বা আশরাফুল মাখ্লুকাত বলিয়া আখ্যায়িত। যিনি মানুষ হবেন_ তাহাকে ফেরেস্তারা সিজদা দিবেন। আল্লাহ-রাসূল বিহীন লোক জীবাত্মার জৌলস ছাড়া আর কিছুই নয়। এই জীবাত্মাই মানুষের ধ্বংসের একমাত্র কারন। পূর্বেই ব্যক্ত হয়েছে, জীবাত্মাই ইবলিশ শয়তান বা মক্কেলে আজাজিল। আদম (আ:) কে সৃষ্টি করার পর আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আদমকে সিজদা দেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ইবলিশ ব্যতীত অন্য সকল ফেরেস্তাগণ সিজদাহ্ দিয়েছিল। ইবলিশ তাঁহার অহংকারের জন্য চিরতরে ভ্রান্ত হয়ে গেল। অদ্যাবদী ইবলিশ মানুষের চির শত্রু বলিয়া আখ্যায়িত। এবং মানুষের পিছনে সার্বক্ষণিক তৎপর এবং মানুষকে ভ্রান্ত পথে চালিত করিতেছে। আল্লাহ-রাসূল বিহীন জীবন-যাপন করা পার্থিব জগতের লোক দেখানো আচার অনুষ্ঠান, প্রার্থনা, পূজা এবং পোশাক পরিচ্ছেদ ব্যবহার, মুখ বাকাইয়া বড় বড় বুলি আওড়ানো, আল্লাহ-রাসূলকে পাওয়ার পথ নয়। আসলে তাহারা ভুয়া পথের পথিক ছাড়া আর কিছুই নয়। এখন আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাইতে পারিতেছি যে, আলিফ্ লাম্ মীম্ হলো পবিত্র ও মহাকুরআন, ইহা ব্যাঙ ও নূরের কুরআন। যাহা কথা বলে– মানুষ কুরআন –এই কুরআনের মধ্যে কোন শোভা সন্দেহ নেই। আদম (আ:)–এর সৃষ্টির প্রারম্ভ হইতেই এই প্রথা চিরচারিত ভাবে অদ্যাবধি প্রচলিত। যালিকাল কিতাবু লা রাইবা ফিহি; হুদাল্লিল মুত্তাক্বিন আমরা আদম (আ:)–এর ঐতিহ্যবাহী সন্তান-সন্ততি হওয়া স্বত্বেও বৈষম্যতার আখড়ায় হৈ চৈ করিয়া বিশ্বাস বা ঈমান পবিত্রতা হারাইয়া ধ্বংসের সাগরের অতল তলে ডুবিয়া মরিতেছি। ভুল পথে চলিওনা ঈমান আন তিনটি নিয়ামত পাইবে। যথা: ১। দীর্ঘায়ু। ২। আমরা যে পৃথিবীতে বাস করিতেছি–এইরূপ দশটা পৃথিবীর বাদশাহী। ৩। নতুন জীবন বা আবেহায়াত বা জীবনের ঝরনা। তৌরাত মূছা (আ:) এখন আমরা সহজ ও সরল সিদ্ধান্তে পৌছাইতে সক্ষম হইতেছি যে, যাহারা মূছা (আ:) এর প্রতি ঈমান আনিয়া ছিলেন তাহারাই ধর্ম ভীরু। তাহাদের জন্য মূছা (আ:) ই কিতাব বা পথ প্রদর্শক, এমনিভাবে–যারা হুজুর করিম (স:) এর উপর ঈমান আনিয়াছিলেন তারাই ধর্মভীরু। উহুদের যুদ্ধে হুজুর করিম (স:) এর দন্ত মোবারকও শহীদ হইয়া ছিলেন। তখন জিব্রাইল (আ:) হাজির হইয়া হুজুর (স:) কে আরজ করলেন–বলুন সাফা ও মারওয়া পাহাড়কে একত্র করিয়া ফেলি, তখন হুজুর করিম (স:) উত্তর দিলেন-ক্ষমা ও দয়া বড় ধর্ম। শত্রুদেরকে দয়া করিয়া ক্ষমা করিয়া দিলাম। তখন হুদায়বিয়ার সন্ধি হইল যে, হুজুর করিম (স:) ও সাহাবাগণকে নিয়ে প্রত্যেক বছর হজ্ব করিতে আসিতে পারবেন কিন্তু তিনদিনের বেশি মক্কায় অবস্থান করিতে পারিবেন না। দশ বছর পরে-হুজুর করিম (স:) যদি ইচ্ছা করেন, তাহা হইলে জীবন ভর মক্কায় অবস্থান করিতে পারবেন। ইহার নামই হুদায়বিয়ার সন্ধি। যখন এই সময় পার হওয়ার পর হুজুর করিম (স:) সাহাবাগণকে নিয়া মক্কায় প্রবেশ করিলেন, তখন মক্কাবাসীগণ ভয়ে আতংকিত হয়ে গেলেন যে, হুজুর করিম (স:) আমাদের উপর প্রতিশোধ নিবেন। তখন মক্কাবাসীগণ দুই দলে বিভক্ত হইল। একদল হুজুর করিম (স:)-এর উপর ঈমান আনিলেন, এরাই নবীর দ্বীনের আওতাভুক্ত হইলেন। আর যাহারা বলিল যে, আমরা হুজুর করিম (স:) এর প্রতি মুখে মুখে ঈমান আনিব। মক্কা ত্যাগ করলে আমরা আমাদের বাপ-দাদার ধর্ম পালন করিব। এরাই এজিদ মাওলানার দলে চিরদিনের জন্য অন্তর্ভুক্ত হইল। এরাই ইবলিশ শয়তান মক্কেলে আজাজিল ও ভ্রান্ত কাফের। নবীর দ্বীন মানে না যারা ভ্রান্ত কাফের তারা। এরাই শুধু লাম্-এর প্রতীক। যে লাম্-এর সাথে আলিফ ও মীম নেই অর্থাৎ যে লোকের আল্লাহ ও রাসূল নেই–জীবাত্মাই তার মধ্যে সদায় বিরাজমান এবং সে সৃষ্টির সেরা মানুষ নয়। আর যে লাম এর সাথে আলিফ ও মীম সার্বক্ষনিক বিরাজমান অর্থাৎ যে লোকের সাথে আল্লাহ-রাসূল সার্বক্ষণিক বিরাজমান-তিনিই সৃষ্টির সেরা মানুষ বা আশরাফুল মাখ্লুকাত উপাধিতে ভূষিত হইয়া ইহকাল ও পরকালের জন্য ধণ্য। হুজুর করিম (স:) যখন হজ্ব সমাপণ করিয়া আরাফাতের ময়দানে যা ভাষণ দিয়েছিলেন, তাহা হৃদয় বিদারক-ইহাতে সাহাবাগণ ভয়ে আতংকিত হইয়া গেলেন যে, হুজুর করিম (স:) আমাদের মাঝে আর থাকিবেন না, ইহকাল ত্যাগ করিবেন। মদিণায় ফিরার পর মসজিদে নববীতে সাহাবাগণকে একদিন আরজ করিলেন যে, আপনি ইহকাল ত্যাগ করিলে কি উপায় হইবে? আপনার কাছ হইতে আমরা অনেক বানী শুনিতে পাই এবং তদানুযায়ী আমল করিতে পারি এবং জিব্রাইল (আ:) তো আমাদের কাছে আসবেন না ও ভবিষ্যত বানী শুনিতে পারিব না। তখন হুজুর করিম (স:) বলিলেন-তোমরা যাহারা আমার প্রতি ঈমান আনিয়াছ তাহাদের কাছে জিব্রাইল (আ:) আসিবেন। তাহারাই নবীর দ্বীনের আওতাভুক্ত হইয়াছে। এমনি ভাবেই কিয়ামত পর্যন্ত চলিতে থাকিবে। যিনি মানুষ হবেন তাহাকে ফেরেস্তারা সিজদা করিবেন।নবীর দ্বীন বা সাড়া বা আহালে বাইয়াত, ইত্যকার প্রয়োজনে জীবাত্মার পরিবর্তনশীল উত্থান-পতনের জগতে চৈতন্য গুরু বা ইনসানে কামেল মানুষ দ্বারা সূচারুরূপে পরিচালিত হইয়া মানবাত্মার অপরিবর্তনশীল নতুন জীবন জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে লাভ করাই – মানুষ বা আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা মানুষ। এখানেই জন্ম স্বার্থক এবং জন্ম দিবস উদযাপিত হতে থাকবে–ইহকাল-পরকালের তরে।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জন্ম দিবস ১৯৯৯ ইং। মানুষ সৃষ্টির রহস্যময় উদঘাটন স্রষ্টার সৃষ্টির সেরা মানুষ। এই অন্ত উক্তির উপাধিতে ভূষিত হইয়া পশুর মত দিবা-রাত্রি, গলগ্রহ ও মলমূত্র, রাস্তা-ঘাটে ত্যাগ করিলেই মানুষ বলা চলিবে না। প্রথমত: নিজেকে চিনিয়া মানুষের সংজ্ঞা ঠিক করিতে হইবে। তাহার পূর্ণাঙ্গ রূপ ধারাবাহিকভাবে বিশ্লেষণ করিতে হইবে। দ্বিতীয়ত: সৃষ্টি জগত ও অদৃশ্য জগত সম্বন্ধে পুরাপুরি ভাবে জ্ঞান আহরন করিতে হইবে। একই রূপে জীবাত্মা ও মানবাত্মা সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করাই হবে-মানুষের পূর্ণাঙ্গ রূপ ও স্রষ্টার স্বরণ। স্রষ্টাতে সহজ আত্মসমর্পণ, সাধন ও ভজন যাহা মানব জীবনের প্রধান কাম্য ও আরম্ভ হইবে–মহা প্রভূর নির্দেশিত খেলাফত। আধ্যাত্মিক সাধনায় লিপ্ত হওয়ার সাথে সাথে ভূ-মন্ডল, নভোমণ্ডল ও আত্মার প্রকৃত পর্যায়, স্তর প্রভৃতির সম্বন্ধে পুরাপুরি জ্ঞান অর্জন করিয়া: সূক্ষ দৃষ্টি, দিব্য জ্ঞান, দিব্য কর্ণ আবিষ্কারে সমর্থ হইতে হইবে। পরম করুণাময় বিশ্ব প্রতিপালক আমাদের সহায় হউন। আমীন।। ১। আমরা যে জগতে বাস করি, ইহা পার্থিব জগত, নশ্বর জগত, সৃষ্টি জগত। ইহার প্রতীক “ক্ষ” ক্ষণস্থায়ী। ২। আমরা যে দেহে বাস করি তাহা: পার্থিব দেহ, নশ্বর দেহ, সৃষ্টি দেহ। ইহারও প্রতীক “ক্ষ” ক্ষণস্থায়ী। ৩। আমরা যে আত্মার প্রভাবে ক্ষণিকের জন্য বাচিতেছি তাহা জীবাত্মা, নশ্বর আত্মা, পার্থিব আত্মা। ইহারও প্রতীক “ক্ষ” ক্ষণস্থায়ী। যাহা আঠারো হাজার মাখলুকাতের মধ্যে একই ভাবে বিদ্যমান। তাই এই “ক্ষ” প্রতীক এর আত্মা নিয়া কখনও আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা বলিয়া দাবী করিতে পারি না। পক্ষান্তরে:– (ক) আমরা যে জগত হইতে আসিয়াছি আবার চলিয়া যাইব তাহা অবিনশ্বর জগত, অদৃশ্য জগত, অপার্থিব জগত বা পরকাল। ইহার প্রতীক “হ” চিরস্থায়ী জগত। (খ) যে আত্মার দ্বারা মানুষ “আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা বলিয়া আখ্যায়িত, তাহা মানবাত্মা, অদৃশ্য আত্মা, পরমাত্মা, অবিনশ্বর আত্মা, ইহার প্রতীক ” হ” চিরস্থায়ী আত্মা। এখন আমরা সহজ ও সরল সিদ্ধান্তে পৌঁছাইতে সক্ষম হইতেছে যে: ১। “ক্ষ” এই প্রতীকের উদাহরণ: আলমে খালক বা সৃষ্টি জগত। ইহা ক্ষনস্থায়ী ধ্বংস প্রাপ্তশীল। ইহার দৈর্ঘ্য প্রস্থ, আয়তন ও ব্যাস চর্মচোখে দেখা যায়। এই পার্থিব জগত ক্ষণস্থায়ী, অবাস্তব, অসার, অপ্রকৃত ছলনাময়ী, মায়াবীনি, মাকড়সা বুনা গৃহ স্বরূপ, কৃত্রিম পঁচা গান্দার উপাদানে আবৃত। আমরা অজ্ঞতার ঘোঢ় নিদ্রায় আচ্ছন্নতায় পড়িয়া এই নশ্বর জগতের চাকচিক্য, জাঁকজমক পূর্ণ, প্রাকৃতির প্রচার -প্ররোচনায় আরাম-আয়েশে, ভোগ-বিলাসে মাতাল ও উদগ্রীব। ইত্যকার প্রয়োজনে ভাবনা চিন্তা আমাদের স্বভাব। চোখ শীতল করার জন্য সুরম্য প্রাসাদ, যাহা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণে গঠিত। মন ভুলানো নারী, গাড়ী, উদ্যান, বড় ব্যবসা-বানিজ্য, ক্ষেত-খামার, উন্নত মানের কলকব্জা, কারখানা, চাকুরীর জন্য উচ্চ শিক্ষা, প্রভৃতি পার্থিব জগতের বাধ্যতামূলক সমস্যা সমাধানে সারাটি জীবনের প্রতি মুহূর্তেই পশুর মত বেখেয়াল হইয়া দিবা-রাত্রি মল মূত্র ত্যাগ করিতেছি। অত্যাধুনিক যুগে: সমাজ, মসজিদ, মকতব, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি সমস্যার সমাধান বাধ্যতামূলকভাবে দ্রুত গতিতে আগাইয়া চলিতেছে। আমরা সমাজের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য ভরট, দেখাইয়া সখের আলেম, ইমাম, শিক্ষক, অধ্যাপক, অধ্যক্ষ নামের পূর্বে মোহাম্মদ বসাইয়া সখের ইসলাম, মোট কথা স্ব-স্ব আত্ম গৌরবের তথা পার্থিব জগতের আপন চাহিদা মিটানোর জন্য সরল মনা- মানুষদের দলে ভিরাইয়া লোভে ব্রত করিয়া-তাহাদের ধন-সম্পদ লুটপাট করিত্ব দ্বিধাবোধ করিতেছি না। ফলে আমরাই স্ব-স্ব কর্ম ফলের জন্য দায়ী হইব৷ পার্থিব কর্মকাণ্ডে সদা-সর্বদাই লিপ্ত থাকিয়া পরকালের চিন্তা ভাবনা একেবারে ভুলিয়া গিয়াছি এবং মানবাত্মাকে চিরতরে আশ্রয়হীন করিয়াছি। সৃষ্টির সেরা মানুষের পূর্ণাঙ্গ রূপের সমাধিস্থ করিয়া পশুত্বে বরণ করিতেছি। ২। “হ” (চিরস্থায়ী) প্রতীকের উদাহরণ: আলমে আমর বা অবিনশ্বর জগত বা পরকাল, ইহাই দিব্য জগৎ। ইহাই চিরস্থায়ী দিব্যজ্ঞান বিশিষ্ট মানব দেহের মহাসোপান। মানুষের পূর্ণাঙ্গ রূপ মূল্যায়ন করিয়া এই সৃষ্টি জগতের গুরু দায়িত্ব। তাই মানুষের আসল রূপ: আলমে খালক+আলমে আমর= এই দুইয়ের সমন্বয়ে বা ভার সাম্যের মিলনে গঠিত মানুষ। ইহাই মানুষের পূর্ণাঙ্গ জগত। পার্থিব জগতের মোহে যাহাদের হৃদয় সম্পূর্ণ শিলাবৎ হইয়া গিয়াছে এবং ষড় রিপুর প্রভাবে প্রভাম্বিত হইয়াছে, জীবাত্মাই শুধু তাহাদের মধ্যে বিদ্যমান, তাহারা মানুষ তো দূরের কথা-পশু বলিলেও অন্ত উক্তি হয় না। কেননা আঠারো হাজার মাখলুকাতের মধ্যে জীবাত্মা একই ভাবে বিদ্যমান। জীবাত্মার উৎখাতে মানবাত্মার অধিকারীত্বেই মানুষ। এখানেই জন্ম স্বার্থক। ওয়ালাতা ক্বুল্লুলি মাই ইয়ুক্বতালু ফি সাবি লিল্লাহি আমওয়াত বাল আহয়াউঁ ওয়ালা কিল্লা তাসউরুন। অর্থাৎ –যারা ধর্ম যুদ্ধে শহীদ হইয়া গিয়াছে, তাহাদিগকে মৃত বলিয়া মনে করিও না। বরং তাহারা জীবিত। জীবাত্মার পরিবর্তনশীল উত্থান-পতনের জগতে মানবাত্মার অপরিবর্তনশীল নতুন জীবন লাভ করাই মানুষের জন্ম। এই প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিতেছি যে– (ক) জীবাত্মা + মানবাত্মা = মানুষ। (খ) সৃষ্টি জগত+অদৃশ্য জগত=পূর্ণাঙ্গজগত। তাই নফস বা জীবাত্মার সকল প্রকার কু-প্রবৃত্তির মূল উচ্ছেদ করিয়া আত্মসমর্পণ ও আত্মকুরবানের সহিত মানবাত্মাকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করিয়া সুদৃঢ়ভাবে ফটক তৈয়ার করিয়া তওবার মালা জীবনের শেষ নি:শ্বাস পর্যন্ত বিজারিত থাকে। চোখের অশ্রুর নির্ঝর ধারায় বুক ভাসাইয়া, অতীতের মুর্খতা, পশুত্বের অনুশোচনা করিয়া নফসের সকল প্রকার দুরারোগ্য রোগের ঔষধ ও প্রতিষেধক একমাত্র– আল্লাহ রাহমানির রাহিমকে মানিয়া লইতে পারি। জীবনের শপথ করিয়া ইনছানে কামেল মুর্শিদের দ্বারস্থ হই এবং নবী করিম (স:) এর দ্বীনে আসি। হুজুর করিম (স:) বলিয়াছেন, ইনছানে কামেলের হাতে যাহারা ছবক গ্রহন করিবে, তাহারা আমার দ্বীনে পুরোপুরি ভাবে সাড়া দিবে। পক্ষান্তরে নবীর দ্বীন মানে না যারা ভ্রান্ত কাফের তারা। মোট কথাঃ সখের ইসলামের আলেম, হাফেজ, ক্বারী, দরবেশ, পীর ও ফকির পার্থিব সম্মানে যদি বিলাত ফেরত ডিগ্রীধারীও হয়, তবুও সে এই পর্যায়ের দ্বারস্থ হইবে, তাই আমরা সাবধান হই নবীর দ্বীনে এবং নবীর দ্বীন মানি। অজ্ঞতাই মারেফাত। আল্লাহর জ্ঞানের নিকট–নিজের অজ্ঞতাই পূর্ণ হেদায়াত। তাই জীবাত্মার জৌলসে, ভোগ বিলাসে, আত্মগর্বে, পার্থিব হিত সাধনে কোন আবিষ্কারের যে কোনো ডিগ্রিধারী হওয়ার নিমিত্তে-একটি নি:শ্বাসও বৃথা যাইতে দিও না। নীরব থাক, অল্প খাও, অল্প নিদ্রা যাও, কেননা বেশীর সবকিছুই খারাপ। যেহেতু যে বিদ্যার দ্বারা আল্লাহকে লাভ করা যায়-তাহা অল্প হইলেও যথেষ্ট। পক্ষান্তরে: যে বিদ্যা বুদ্ধি বেশী অর্জিত হওয়ায় আল্লাহকে পাওয়ার পথে অন্তরায় থাকে-তাহা বেশি হইলেও তুচ্ছ। নিজেকে এবাদতে মগ্নপূর্ণ হেদায়াতের জন্য বিস্তারিত স্মরণে পরও-নফসের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন-দোযখের ভীতি, বেহেস্তের লোভ ও পার্থিব নানাবিধ সমস্যা। কারন, ভয় ও আশা বর্তমান থাকে। ভয় ও আশা এই দুইটি মানুষিক রোগের ঔষধ। আস্তাভেদে উভয়টি উপকারী। সুতরাং ঔষধের শ্রেষ্ঠত্ব নাই, উপকারিতা আছে মাত্র। তাই ভয় ও আশা মানুষের পূর্ণ জ্ঞান নহে। মানুষ যদি আল্লাহর ধ্যানে তাঁহাকে একেবারে বেষ্টন করিয়া লয়, আর সে যদি-আদি, অন্ত সমস্ত ভুলিয়া গিয়া বর্তমানে কি হইতেছে, তাই লক্ষ্য করে এমনকি সময়টি পর্যন্ত ভুলিয়া গিয়া সময়ের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে নিয়া ব্যাপৃত থাকে তবেই সে পরম উৎকর্ষ লাভ করে। ইহাই তার পূর্ণ জ্ঞান। ভয় ও আশার দিকে মননিবেশ করিলে আল্লাহকে পাওয়ার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু আল্লাহর প্রেমে বিভোর তদ্রূপ ব্যক্তি নিতান্তই বিরল। উপসংহার: যত সব উন্নতি আবিষ্কার ভাবনা চিন্তা ইত্যাদি সমস্যার সমাধান একমাত্র ইনছানে কামেল মুর্শিদের প্রতি নিরিখ ইহাই পরকালের বীরত্বের অমরত্ব। স্রষ্টাতে সহজ আত্মসমর্পণ সাধন ও ভজন মিলিয়া হইতেছে ত্রিবেনীর তীর্থ। ইহাই সহজ তীর্থ। প্রমান স্বরুপ নিরাকারে সাই নিরঞ্জন সাধন ও ভজন পথে মুর্শিদ রূপ ধারণ করে। এই সম্বন্ধে কুরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করিতেছি, বালামান আসলামা ওয়াজহাহু লিল্লালে ওয়াহুয়া মু্হসিনুন ফালাহু আজরুহু ইন্দা রাব্বিহী ওয়ালা খাওফুন আলাইহীম ওয়ালাহুম ইয়াহু জানুন। সূরা বাকারাহ ১১২ নং আয়াত। অর্থাৎ , হ্যা যে আত্মসমর্পণ করে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ও পূর্ণ কর্মশীল, তাহার পূর্ণ কর্মফল রবের নিকট গচ্ছিত। তাদের কোনো ভয় নাই এবং তাহারা চিন্তান্বিত হইবে না। ইতিহাস ধর্ম নয়। বৈষম্যতার গনিত শাস্ত্র মাত্র। আদিম আদিবাসীর জীবন যাপনের অভ্যাস আরম্ভ করিয়া পৃথিবীর সর্ব কালের অধিবাসীদের সম্প্রদায় ভুক্ত করিয়া জাতি ভেদের সৃষ্টি করিয়াছেন। ইহাতে কোনো দ্বিধা দন্দ নাই। পৃথিবী সৃষ্টির আবহমান কাল হইতেই মানুষ সংজ্ঞাহীন হইয়া বৈষম্যতার আখড়ায় হৈচৈ করিয়া ধ্বংসের সাগরের অতল তলে নিমজ্জিত হইয়াছে। ভূ-গোয়ালের পারিপার্শ্বিকতায় প্রাকৃতিক পরিবেশের বিভেদ মাত্র। প্রাকৃতিক পরিবেশের অধিকারীত্বেই-একমাত্র বিদ্যমান হইতেছে রঙ ও ভাষার প্রভেদ। উই আর মরফি ডষ্ট ন্যাশ্যান প্রভূ প্রদত্ত জ্ঞানের অবমাননা করিয়া বৈষম্যতার অধিকারীত্বে স্ব স্ব জাতির আত্মস্তম্বিরতায় মনগড়া, ধর্ম, প্রার্থনা, পূজা, সমাজের আচার-অনুষ্ঠান বাহ্যিকভাবে চাকচিক্য ও জাকজমকের সহিত উদযাপিত হইতেছে। ধর্ম-জাতি সমষ্টির আওতাধীন নহে। ধর্ম এক আত্মসমর্পণ, ভজন, প্রেম, দয়া, ক্ষমা, প্রীতি, স্নেহ ইত্যকার প্রয়োজনে কঠোর শ্রম, পরম সহিষ্ণুতা, অপরিসীম ধৈর্য্য, অশেষ ভক্তি, অকৃত্রিম ভালবাসা, একত্ববাদ জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে প্রভু প্রেমে বিভোর সার্বক্ষণিক প্রভৃতির সাধনালব্ধ, গুন বা ফল, যাহা আত্মশুদ্ধিত্ব পবিত্র আত্মার অধিকার। রুহে ইনছান বা মানবাত্মার অধিকারেই ধর্ম। ধর্ম বাহ্যিক কোনো বস্তু নয়। টাকা পয়সায় ক্রয়লব্ধ চিজ নহে। বহি: প্রকাশের পুঁথিগত কোন নাটকের অভিনয় নহে। ধর্মই জ্ঞান-প্রভু প্রদত্ত নূরের আলোকে যাহার অন্তর পরিপূর্ণ ও পবিত্র আত্মার ভাবনা চিন্তায় মনে যে আভ্যন্তরীন সিদ্ধান্তের সঞ্চার হইয়া সঠিক পথে নিজেকে চালিত করে, তাহাই বাস্তব নিরপেক্ষ ধর্ম। জন্ম হইল বৃথা, ছাড়তে পারিলাম না পাচঁটি বন্ধকতা। আল্লাহ-রাসূলকে পাওয়ার তরে বন্ধ হয়ে রয়েছে-আল্লাহর-রাসূলের পথ চিরতরে। খোলা হয়ে যাবে রুদ্ধ পথ-আল্লাহ-রাসূলের কৃপাতে, হউন যদি-সহায় গুরু বাবা মোদের তরে। পাঁচটি বন্ধকতা সৃষ্টিতে আছে সদাই বিরাজমান। যেমন: ১। বৈষম্যতা। ২। (আত্মগর্ব) আমিত্ব। ৩। অজু-গোসল। ৪। রোজা – ঈদ। ৫। নবীর দ্বীন। ১। ভূ-গোলের প্রাকৃতিক পরিবেশের পারিপার্শ্বিকতায় ভাষা ও রং-এর ভেদাভেদ। যেমন-বাংলাদেশের ভাষা বাংলা ও রং এক ধরণ। ভারতের ভাষা উর্দ্দু-রং অন্য ধরণ।
পাকিস্তানের ভাষা উর্দ্দু-রং অন্য ধরণ, আরব দেশের ভাষা আরবি, রং অন্য ধরণ। জন্ম হলো বৃথা, এ ভবে। বুঝলাম না কিছু। জীবাত্মার প্রভাবে রইলাম ডুবে এই ভব সংসারের মায়াজালে। হবে না আর পুন: জন্ম এ ভূবনে। পূঁজিপাট্টা সবই হারাইলাম। পারলাম না ছাড়তে পাঁচটি বন্ধকতা জীবনের তরে আছে বিরাজমান, যাহা সারাজাহানের মানবদের অন্তরে দিতেছি পূঁজা স্ব-স্ব ধর্মের দেবতারে ছাড়িয়া
বাস্তব ধর্ম নিরপেক্ষতার দেবতারে। করতে হবে উৎখাত বৈষম্যতা মন হতে চিরতরে। দূর হবে প্রথম বন্ধকতা সহজেই – হতে থাকবে পূঁজা এক আল্লাহর তরে। নাই কিছু মোর তবু করি বড়াই।
মোর মোর করে হারাইতে হবে প্রাণের মালিককে চিরতরে। করতে হবে বিলুপ্ত আমিত্ব বোধকে,
হয়ে যাবে খোলা দ্বিতীয় বন্ধকতা মন হতে। সকল প্রকার কু-প্রবৃত্তির নিবৃতীতে থাকে জারি অজু-গোসল সার্বক্ষণিকের তরে।
মিথ্যা, গিবত, তম্মত্যা, হিংসা,নিন্দা, গর্ব,লোভ ও রাগ করতে না পারলে বর্জন চিরতরে। হবে না অজু গাসল (পবিত্রতা) আজীবনে, কোন দিনে। করিলেও স্নান পুকুরে, বিলে-ঝিলে,নদ-নদীতে, সমুদ্র-সাগরের পানির বিনিময়ে, সর্বান্তঃকরণ চেস্টায় জীবন ভরে।
যদিও করা হয় পরিস্কার সর্ব শরীর, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভালভাবে। ভেঙ্গে ফেলে কেহ যদি মোর মুখ মন্ডলের দাঁত, চাইতে হবে ক্ষমা দন্ত-ভঙ্গনকারীর কাছে। পাইছ ব্যথা তোর হাতে। মোর দন্তগুলি ভাঙ্গাতে, ক্ষমা করে দেও বাবা মোরে চিরতরে- দয়ার বিনিময়ে তাতে থাকবে জারী- অজু-গোসল (পবিত্রতা) জীবন ভরে- হয়ে যাবে বর্জন-এই সব কু-প্রবৃত্তি চিরতরে, থাকবে জারী পবিত্র কুরআন সর্বক্ষণই জীবনের তরে-মন মসজিদে ও দিলকাবাতে। যাবে ভেঙ্গে তৃতীয় বন্ধকতা মন হতে। ৪র্থ বন্ধকতা: রোজা ঈদ, বকরা ঈদ, হজ্জ্ব ও জাকাত করিতেছি পালন রোজা একমাস করে বর্জন দিনের বেলায় আহার ও পান। করিতেছি না পালন সঠিক ভাবে রোজার বিধান।
হবে পালন রোজা সঠিক ভাবে – পারলে আয়ত্বে মনকে নিজের নিয়ন্ত্রণে। আত্মসমর্পণ, আত্মসংযম, আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্ম বিসর্জন, আত্ম সাহায্য ইত্যাদির সমম্বয়ে-
থাকে কায়েমি রোজা জীবন ভর।
আছে নিজের কপালে সুখ-দুঃখ,
অভাব-অনটন যত, মারিয়া লাথি
ইহাদিগকে চিরতরে-দিতে হবে
আত্মবিসর্জন অপরের মঙ্গলের তরে।
হতে থাকবে উদযাপিত হজ্জ্ব ব্রত ও
ঈদ সকলসহ থাকবে জারী
ঈদ ও হজ্জ্ব জীবনভর চিরচারিত ভাবে।
যাবে ভেঙ্গে চতুর্থ বন্ধকতা চিরতরে।
৫ম বন্ধকতা: করিতেছি বসবাস
ও পার্থিব ক্ষনস্থায়ী জগতে-
মজাইতেছি নিজেকে ইচ্ছামতে
বেখেয়ালে বাঁচিতেছি ক্ষনিকের তরে।
ও জীবাত্মার পরিবর্তনশীল
উথান, পতনের জগতে
লভিতে হবে মানবাত্মার
অপরিবর্তনশীল নতুন জীবন।
নবীর দ্বীন বা শরা বা আহালেবাইয়াত,
ইত্যকার প্রয়োজনে নিতে হবে দীক্ষা-
সত্য শুরু হতে।
জানতে হবে শিক্ষার চেয়ে দীক্ষা বড়।
গুরু সত্য, বাক্য সত্য,
সত্য গুরুর বাক্যেই নবীর দ্বীন।
থাকবে জারী কায়েমি নামাজ জীবন ভরে-হয়ে যাবে অপসারিত সকল বন্ধন
ইহকাল-পরকালের তরে নি:সন্দেহে।
জন্ম হবে স্বার্থক-
মানুষের উদযাপিত হতে থাকবে
জন্মদিন এমনিতেই ।
পার্থিব বা নশ্বর জগতের বিদ্যাবুদ্ধির যশ খ্যাতি
উপযুক্ততার মাপকাঠি যত ধরনের কাঠামাে হউক,
তাহা জ্ঞান নহে। এই ধরনের যত প্রকার
ডিগ্রী অর্জন করা হউক না কেন,
তাহা আসল জ্ঞান গর্ভের অন্তরায় হইয়া
মানবাত্মার আসল জ্ঞান রূপকে
অঙ্কুরে বিনষ্ট করিয়া পত্তত্বে বরণে
মানুষ হিসাবে দিনাতিপাত করা ছাড়া আর কিছু নয়।
বর্তমান যুগ অত্যাধুনিক যুগ।
যাহার দ্বারা জীবন-যাপন,
পােষাক পরিচ্ছেদের পরিধান।
খেয়াল ও কথা বলার ভঙ্গি ছন্দ ছাড়া,
আর আসলে ভূয়া পথে অটল-
অচল যেন অন্ধের মনিলাঠি ।
যা দ্বারা নবীগণ, অলি, কুতুব, পীর,
দার্শনিক ও অন্ধের লাঠির স্বীকার হইতে
মুক্তি পান নাই । এখানেই অন্ধের
লাঠিয়ালদের সতর্কতার সহিত
বর্তমান যুগের পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতার
সাবধানের জন্য ইমাম মাহদি (আ:) ও
ঈসা (আ:) এর করুণ দৃষ্টির আলােকপাতে
যেন অন্ধের লাঠিয়ালদের
নির্দিষ্ট পরাজয়ের বিনিময়ে দ্বীনে মােহাম্মদীর প্রচার পথ সুগম হউক। তাই কামানাে বাক্য আত্মগােপনকারী ধর্ম নির্বিশেষে প্রচারকগণ আত্মসমর্পন করিয়া আশ্রয় প্রার্থী ও সাহায্য প্রার্থী যেন আমরা মাহদি (আ:) এবং ঈসা (আ:) পথ অনুসরণ করিতে পারি । আমীন৷
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রুদ্রবার্তার সম্পাদক মোঃ শাহ্ আলম তালুকদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শফিউদ্দিন আহম্মেদ সেলিম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো.মঞ্জুরুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরে আলম, যুবলীগ নেতা বিপ্লব সাউদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফয়সাল চৌধুরী রাজু, রুদ্র বার্তার প্রধান সম্পাদক এনামুল হক দিদার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কবির হোসেন,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ, রুদ্র বার্তার স্টাফ রিপোর্টার মো.সিরাজুল ইসলাম আকন্দ, মো.মনির হোসন, আঃ ছাত্তার, মোঃ আলী সহ অন্যান্য ভক্তবৃন্দ।
দোয়া শেষে ভক্তবৃন্দ সহ উপস্থিতদের মাঝে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হয়।