শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

বন্দরে ট্রেনিং সেন্টারের অন্তরালে তৈরি হচ্ছে অবৈধ মশার কয়েল

  • আপডেট সময় বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪, ৩.৪৭ এএম
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে

বন্দরে হাজিপুর এলাকায় ট্রেনিং সেন্টারের অন্তরালে কাঠের গুড়া ও রং দিয়ে অবৈধ ভাবে মশার কয়েল তৈরি করা হচ্ছে।

আবাসিক এলাকায় অবৈধ কয়েল তৈরির কারখানার বিষাক্ত ধোয়ায় এলাকার পরিবেশ বিপর্যয় এর পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছেন। অবৈধ কারখানার চুলায় ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। যার ফলে ওই এলাকার আশেপাশের মানুষজন রান্নার চুলায় গ্যাসের প্রেসার পাচ্ছেন না।
৫ মার্চ মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, হাজিপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মনির মিয়া নামের এক ব্যক্তি অবৈধ ভাবে মশার কয়েল তৈরি কাজ করাচ্ছে শিশু শ্রমিক দিয়ে।

রং ও কাঠের গুড়া দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে কয়েল তৈরি করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে বাজারে ইসপাত নিম ব্রান্ডের কয়েল বলে বিক্রি করছেন। যার ফলে দোকান থেকে ক্রেতারা কয়েল কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ও সেইসব নকল ব্রান্ডের কয়েল ঘরের মধ্যে মশা তাড়ানোর জন্য জ্বালালে মানুষজন নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

অবৈধভাবে আবাসিক গ্যাস ব্যবহার করে চলছে এসব অনুমোদনহীন কয়েল তৈরির কারখানা। এতে একদিকে যেমন লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অপরদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব এলাকায় বসবাস করছেন সাধারণ মানুষ।

এ সকল কয়েল তৈরির কারখানাগুলো অপ্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিক ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে কার্যক্রম । এ কারখানায় ফায়ারইকুপম্যান্ট দেখা যায়নি একটি দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারেন কারখানার অনেক শ্রমিক।

এই অবৈধ ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ মালিকেরই পরিবেশের ছাড়পত্রসহ নেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এক্ষেত্রে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে প্রতিনিয়তই চলছে তাদের কাজ।

অবৈধ কয়েল তৈরির কারখানার মালিককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন সারা দেশে অবৈধভাবে এ ব্যবসা চলছে, তাই আমরাও করছি। আপনি আসছেন চা পানির কিছু খরচ নিয়ে যান।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ অবৈধ কয়েল কারখানার কারণে একদিকে যেমন নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। পাশাপাশি অবৈধভাবে এসব কারখানায় গ্যাস পোড়ানোর ফলে সবসময় গ্যাস সংকট দেখা দিচ্ছে বাসাবাড়িতে। আবাসিক এলাকায় কয়েল কারখানা হওয়ায় দিনের পর দিন ভোগান্তি বাড়ছে স্থানীয়দের।

এলাকাবাসী অবিলম্বে অবৈধ কয়েল কারখানা বন্ধ করে কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এ.মুহাইমিন আল জিহান বলেন, অবিলম্বে এসব অবৈধ কয়েল কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort