বন্দর প্রতিনিধি :-নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মিথ্যা মামলা ও পুলিশ হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী হাবিবা। ২১ই আগস্ট দুপুরে একটি গনমাধ্যম অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে হাবিবা জানান, বন্দর কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সুচিয়ারবন ৯নং ওয়ার্ডে অবস্হিত তার বাড়িতে গত ২৩/০৭/২০২৫ইং তারিখে গভীর রাতে একাধিক সোর্স ও বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলি, সেকেন্ড অফিসার জলিল সহ একদল পুলিশ বাহিনি আমার বাড়িতে বিনা সার্চ ওয়ারেন্টে প্রবেশ করেন এবং আমার বাড়ি তল্লাশী করেন তারা কোনো ধরনের অবেধ কিছু পায়নি। আমার স্বামি মতিউরের ব্যবসায়িক ২৬লক্ষ টাকার একটি চেক ও নগদ আড়াই লক্ষ টাকা দেখতে পায় সে টাকা থেকে তারা আমার কাছ থেকে ১লক্ষ টাকা দাবি করেন। আমি দিতে অস্বীকার জানালে তারা ২০হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়।
তারপর ১৩/০৮/২০২৫ইং তারিখে গভীর রাতে তারা আবারো আমার বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং আমার বাড়ির সিসিক্যামেরা ভাংচুর করেন। এবং পুলিশের সাথে সোর্স ও একাধিক লোকজন ছিলেন তাদের নিয়ে তল্লাশী করেন কোথাও কোনো ধরনের মাদক পায়না। তারা প্রায় দীর্ঘ তিন ঘন্টা আমার বাড়িতে অবস্হান করেন হঠাৎ করে তাদের মধ্যে একজন বলে উঠেন এই যে মাদক। আমি তাদের সাথে প্রতিবাদ জানাই।
কিন্ত তারা আমার কোনো কথা শুনেনা বরং আমাকে মামলা দিবে বলে ভয়ভীতি দেখায়। আমার কাছে ২০লক্ষ টাকা দাবি করেন।
রাত আনুমানিক ৩টা বাজে আমাকে আমার দুধের শিশু কন্যা সহ বন্দর থানায় নিয়ে আসে। তখন ওসি লিয়াকত আমার কাছে ১০লক্ষ টাকা দিতে বলেন। আমি পুলিশের মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে বাঁচতে সর্বশেষ ৫ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হই।
পুলিশ জানান তাদের সোর্স রতন কাছে ৫লক্ষ টাকা পৌছে দিলে আমাকে ছেড়ে দিবে। ১৩ তারিখ সকাল ১০টায় বন্দর ঘাট প্রিমিয়ার ব্যাংক হতে আমার পরিবারের লোক টাকা উত্তোলন করে সোনাকান্দা কেল্লার মোড় থেকে সোর্স রতন সহ থানায় যায়। সোর্স রতন ওসির রুমে গিয়ে পুলিশের দাবিকৃত টাকা পৌছে দেয়।
৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরেও পুলিশ আমাকে ১০পিছ ইয়াবা দিয়ে কোর্টে চালান করেন আমি আমার দুধের শিশু নিয়ে ৮দিন বিনা অপরাধে জেল খাটি। এছাড়াও পুলিশ মাঝে মাঝে আমার বাড়িতে আমার স্বামি মতিউর কে খুঁজতে যায়। আমার স্বামী একসময় খারাপ মানুষের সাথে মেলামেশা করতো কিন্ত সে এখন কোনো খারাপ কাজে জড়িত না। সে ঢাকা বাদামতলী চাউলের ব্যবসা ও মাছ চাষ করেন। মানুষ কি ভালো হতে পারেনা?
আমার স্বামির অতিতের কর্মকান্ড নিয়ে আমাদের উপর পুলিশের হয়রানির মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই এবং প্রধান উপদেষ্টা সহ প্রশাসনে উদ্বোধন কর্মকর্তাদের কাছে এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলি ঘটনা মিথ্যা বলে দাবি করেন।