বন্দরে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্যসহ ৩ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করছে জেলা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারি সংস্থার উপস্থিত টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে গেছে আরো এক মাদক ব্যবসায়ী।
পরে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৩০০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১২ লিটার দেশিয় মদ ও আরো ৪ লিটার বিদেশি মদ এবং মাদক বহনকৃত ঢাকা মেট্রো ল ২২-৬৫৪৮ নাম্বারে কালো রং এর সুজুকি মোটর সাইকেল জব্দ করতে সক্ষম হয়।
ধৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলো বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের আন্দিরপাড় এলাকার বিল্লাল হোসেন মিয়ার ছেলে রাতুল (১৯) একই ইউনিয়নের চানপুর এলাকার শহিদ মিয়ার ছেলে সিফাত (১৮) ও বন্দর থানার ২৭ নং ওয়ার্ডের মুরাদপুর এলাকার মৃত খোরশেদ আলম মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৪)। গ্রেপ্তারকৃত ৩ মাদক কারবারিকে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বন্দর থানার রুজুকৃত পৃথক মাদক মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুশারী) রাত সাড়ে ৭টায় বন্দর উপজেলার মদনপুর টু আড়াইহাজার সড়কের পাকা রাস্তার উপর ও গত শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) বিকেল পৌনে ৩ টায় ঢাকা টু চিটাগং মহাসড়কের মদনপুর গামী রাস্তার উপরে তল্লাশী চালিয়ে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্যসহ উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
ইয়াবা ও বিভিন্ন প্রকার মদ উদ্ধারের ঘটনায় জেলা কাউন্টার , টেরোরিজম ইউনিটের উপ- পরিদর্শক সুকান্ত দত্ত ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি উপ- পরিদর্শক পলাশ কান্তি রায় বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদক আইনে পৃথক ২টি মামলা রুজু করেছে। যার মামলা নং- ১৯(২)২৪ ও ২০(২)২৪।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর উপজেলার মদনপুর টু আড়াইহাজার সড়কের পাকা রাস্তার উপরে একটি মোটর সাইকেলে তল্লাশী চালিয়ে ৩০০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ইয়াবা ব্যবসায়ী রাতুল ও সিফাত নামে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও পালিয়ে গেছে শাকিল নামে আরো এক মাদক ব্যবসায়ী।
এ ছাড়াও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি গত শুক্রবার বিকেলে ঢাকা চিটাগং মহাসড়কের মুরাদপুরগামী রাস্তার উপরে অভিযান চালিয়ে ১২ লিটার দেশীয় মদ ও আরো ৪ লিটার বিদেশি মদসহ শাহিদুল ইসলাম নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।