সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন

বন্দরে ইটভাটা মালিক হত্যা, আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

  • আপডেট সময় সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৪.৫০ এএম
  • ২৬৫ বার পড়া হয়েছে

রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ইটভাটা মালিক মোতালিব (৫৫) হত্যা মামলার ছয়দিনেও প্রধান আসামি ইসমাইলকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে অন্য আসামিরাও। এ নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্যে। তারা এই ঘটনায় জড়িত আসামিদের দ্রæত গ্রেফতারের দাবি জানান। তবে পুলিশ বলছে, পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের শাসনেরবাগ এলাকায় ইটভাটা মালিক মোতালিবকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর গত বুধবার বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী মাকছুদা (৪৫)। মামলার পূর্বেই ফজল করিম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। ফজল করিম এই মামলার প্রধান আসামি ইসমাইল হোসেনের আত্মীয়। এরপর আর কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এই মামলায় আসামি করা হয়েছে, শাসনেরবাগ এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে ইসমাইল (৪৪), একই এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে নবী (৪৬), বন্দরের মিনারবাড়ির সেলিম মিয়ার ছেলে সজিব (৩০), শাসনেরবাগের রমজানের ছেলে রাজু (২২), মৃত সিরাজুলের ছেলে মামুন (৩৫), মিনারবাড়ির রফিকের ছেলে তানজিল (২৫), শাসনেরবাগের মৃত সিরাজের ছেলে হারুন (২২), মৃত জালালের ছেলে ফজল করিম (৩৫) নামে আটজনকে। ফজল করিম ছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
নিহত মোতালিব ধামগড় ইউনিয়নের শাসনেরবাগ এলাকার মৃত রাজ্জাক মিয়ার ছেলে। স্থানীয় লোকজন ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে শাসনেরবাগ এলাকার দীর্ঘদিন যাবৎ মোতালিবের সাথে প্রতিবেশী ইসমাইল হোসেনের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। স¤প্রতি মোতালিব হোসেন বিরোধপূর্ণ জমিটি ইসমাইলের বোনকে রেজিস্ট্রি করে বিক্রি করে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে মোতালিব নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে অস্ত্র-সস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে ইসমাইলের সন্ত্রাসী বাহিনী ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে আহত করে। হাসপাতালে মৃত্যু হয় মোতালিবের। ঘটনার পরদিন বন্দর থানা পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে ইসমাইলের চচা ফজল করিমকে গ্রেফতার করে। ফজল করিমকে আটক করে স্থানীয় ব্যক্তিরাই পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এই মামলার প্রধান আসামিসহ অন্যরা গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত মোতালিবের স্ত্রী ও হত্যা মামলাটির বাদী মাকছুদা। তিনি বলেন, ইসমাইল সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। চাঁদা দাবি করায় তাকে না দিলে সে তার স্বামীর উপর ক্ষিপ্ত ছিল। জমি নিয়েও বিরোধ ছিল তার সাথে। এর জেরে সে হত্যা করে বাদীর স্বামীকে।
মাকছুদা বলেন, ‘ঘটনার এক সপ্তাহের মতো হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। আমরা চাই, ইসমাইলসহ তার বাহিনীর লোকজনকে দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।’
জানতে চাইলে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বন্দর থানাধীন কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম বলেন, একজন আসামি গ্রেফতার রয়েছে। তিনি এই মামলার এজাহারনামীয় আসামি। অন্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শীঘ্রই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort