আচরণবিধি অনুযায়ী সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সেই নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সরকারি এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বন্দরের ১৯নং ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীকের প্রার্থী মো. মোখলেসুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলার পদে কর্মরত মাহবুবুর রহমান মিলনের বিরুদ্ধে। তিনি ১৯নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ লক্ষ্যারচর মধ্যপাড়া এলাকার মরহুম সিরাজুল ইসলাম মিনুর পুত্র।
নির্বাচন কমিশন থেকে প্রার্থীদের কাছে সরবরাহকৃত আচরণবিধির ২২নং ধারার ১ অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হলে তিনি শুধুমাত্র তাঁর ভোট প্রদানের জন্য ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন।
২ অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, নির্বাচন পূর্ব সময়ে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচারযন্ত্র, সরকারি যানবাহন, অন্য কোন সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণকে ব্যবহার করতে পারবেননা।
এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘন হলেও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীকের প্রার্থী মো. মোখলেসুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন ঢাকায় জেলার পদে কর্মরত মাহবুবুর রহমান মিলন।
তিনি মোখলেসুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে উঠান বৈঠক সভা সমাবেশের পাশাপাশি গণসংযোগেও অংশ নিচ্ছেন। নিজের পদবী ব্যবহার করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মী ও সমর্তকদের হুমকী ধমকীও দিচ্ছেন।
এতে করে ১৯ং ওয়ার্ডে অপর দ্ইু প্রার্থী করাত প্রতীকের প্রার্থী সদ্য সাবেক কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর ও ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থী আলমগীর হোসেন রয়েছেন আতঙ্কের মধ্যে। কারণ মাহবুবুর রহমান মিলন জেলার হওয়ার সুবাদে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনে তার একটা প্রভাব রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে মাহবুবুর রহমান মিলনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান জানান, আচরণবিধিতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে সরকারি কোন কর্মকর্তা কর্মচারী নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেনা। এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।