শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

বঙ্গবন্ধু জাদুঘর সশস্ত্র বাহিনীর জন্য মাইলফলক হবে : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২২, ৪.১১ এএম
  • ৪১৮ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর (বিএমএম) দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে তরুণ প্রজন্মের পাশাপাশি শিশুদেরও অনুপ্রাণিত করবে।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) সকালে আন্তর্জাতিক মানের স্থাপত্য কীর্তি বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিজয় সরণীর বঙ্গবন্ধু জাদুঘর প্রান্তে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাদুঘরটি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য একটি মাইলফলক হবে। যার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম ও শিশুরা মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান সম্পর্কে জানতে পারবে। আমি মনে করি এটা হবে সারা পৃথিবীর মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি নির্ভর সামরিক জাদুঘর। এখানে সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর জন্য পৃথক প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকায় এখানে আগত তরুণ থেকে বয়োবৃদ্ধরা যেমন এ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে পারবেন তেমনি তরুণ প্রজন্ম সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানে আরও আগ্রহী হবে। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আরও উদ্বুদ্ধ হবে। কাজেই জাদুঘরটি শুধু প্রদর্শনীর জন্যই নয়, এটা তরুণ প্রজন্মকে যেমন আকর্ষণ করবে তেমনি তাদের দেশ প্রেমেও উদ্বুদ্ধ করবে।

যে কারণে ক্ষুদ্র পরিসরে থাকা আমাদের সামরিক জাদুঘরকে বৃহৎ পরিসরে এবং আরও আকর্ষণীয় করে বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারের পাশে বিজয় সরণীতে তৈরির উদ্যোগ তার সরকার গ্রহণ করে। পাশাপাশি সেখানে সরকারি উপহারগুলো প্রদর্শনীর জন্য একটি তোষাখানা জাদুঘরও নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। যা নির্মাণের দায়িত্ব পায় সামরিক বাহিনী। পাশাপাশি সামরিক জাদুঘরটা যেন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি সামরিক জাদুঘর হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সেটাই তার আকাঙ্ক্ষা ছিল, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রতিটি উন্নয়নকাজ করতে গেলেই বাধার মুখে পড়তে হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে বাধা অতিক্রম করেই এগিয়ে যাচ্ছি এবং আজকের এই দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তাছাড়া দেশের মানুষের বিনোদনের জায়গা সীমিত হওয়ায় কোনো স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার শিক্ষার পাশাপাশি সে বিষয়টি মাথায় রাখে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্শ্ববর্তী নভো থিয়েটারে আমাদের অনেক শিক্ষার্থীরা আসে তারা সেখানে অনেক কিছু দেখে এবং জানতে পারে। আমাদের সামরিক জাদুঘরেও এসে দেখতে ও জানতে এবং কিছু শিখতে পারবে। শিশু পার্কে তাদের জন্যও বিনোদনের ব্যবস্থা থাকছে। কাজেই সবকিছু মিলে আমাদের বিজয় সরণী বিজয়ের স্মৃতি নিয়েই চলবে। সেটাই হচ্ছে বড় কথা।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার যে জনগণের সেবক, সেটা ও আমরা প্রমাণ করেছি। দীর্ঘ সময় সরকারে থাকার ফলে আজকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি। যেটা ২০০৮ এর নির্বাচনের ইশতেহারে আমাদের ঘোষণা ছিল। সে জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছি বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।

জাদুঘর থেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরটি বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারের পশ্চিম পাশে ১০ একর জমিতে নির্মিত হয়েছে। যেখানে স্বাধীনতার আগে ও পরে সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন সরঞ্জামাদি প্রদর্শন করা হয়েছে। জাদুঘরটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর জন্য নির্ধারিত গ্যালারিসহ ছয়টি পৃথক অংশ রয়েছে। প্রতিটি বাহিনীর গ্যালারিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort