নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ছাত্রজীবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছিল। তিনি আমাকে বলেছিলেন রাজনীতিতে আসো, মানুষের কল্যানে কাজ করো, মানুষকে ভালবাসতে শেখ।
ছাত্রজীবনে দুর্যোগের মধ্য দিয়েই রাজনীতির জীবন শুরু করেছিলাম। রাজনীতি করি, রাজনীতি আমার নেশা। যে রাজনীতি মানুষের কল্যানে কাজ করে, মানুষকে ভালবাসতে শেখায় আমি সে রাজনীতি করি। মানুষকে ভালবাসা মানুষের কল্যানে কাজ করাটাই আমার নেশা।
মানুষের দাবী দাওয়া নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। সৎ ও ন্যায় থাকার কারনে নির্যাতিত হয়েছি জেলে গিয়েছি বার বার। কিন্তু কোন সময় অসত্য, অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) জামিআ আরাবিয়া দারুল উলূম নতুন ভবনের উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। জামিআ আরাবিয়া দারুল উলূম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জামিয়া কার্যনির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাচ্চু সভাপতিত্ব উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী ওয়ালী উল্ল্যাহ, মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহ নেওয়াজ, মুহতামিম অত্র জামিয়া মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহর আরী চৌধুরী, স্থানীয় মেম্বার শফিউদ্দিন খোকন সরদার, সাবেক দুলাল মেম্বার প্রমুখ।
এ সময় আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, এ মাদ্রাসার ইতিহাস অনেক বড় ইতিহাস। এ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠার সময় আমরা এখানকার ছাত্র ছিলাম। এখানে মাটি এনে আমরা ঘর নির্মাণ করেছিলাম। মাদ্রাসার জন্য কিছু করে গেলে ইহকাল ও পরকালে ভাল থাকব। এ মাদ্রাসার সভাপতি আমার বড় ভাই করিম সাহেব, তিনি অসুস্থ। আমি আপনাদের কাছে তার সুস্থতা কামনা করে দোয়া করছি।
একসময় এখানে লেখাপড়া করতাম। ধর্মীয় শিক্ষা এখান থেকে নিয়েছিলাম। ধর্মীয় শিক্ষা নেয়ার ফলেই আমি একসময় নারায়ণগঞ্জের মহাকুমায় কোরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করতাম। আমি যখন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলে যাই সেখানে পাঁচ বছর লেখাপড়া করার সময় আমি প্রতি বছর কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগীতায় আমি প্রথম স্থান অধিকার করতাম। মাদ্রাসা আমাকে সে শিক্ষা দিয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু মাদ্রাসার কাজে সীমাবদ্ধ নয়, আমি নারায়ণগঞ্জে বেশ কয়েকটি মসজিদ নির্মাণ করেছি। মসজিদের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজও করেছে অনেক। হসপিটাল ভবন ও স্কুল ভবন নির্মাণ করে দিয়েছি। ডায়বেটিস হসপিটালের ডায়ালিসিস মেশিন কেনার জন্য চল্লিশ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছি। কিছু দিনের মধ্যে হয়ত সেটা উদ্বোধন করা হবে। এভাবে শুধু নারায়ণগঞ্জে নয় আড়াইহাজার রুপগঞ্জ সোনারগাঁও সহ বিভিন্ন জায়গায় আমি কাজ করে যাচ্ছি।
ইতিমধ্যে আমার সোনারগাঁওয়ে চারটা মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা আনার রয়েছে, বরাদ্দ হয়েছে। আমি মনে করি আমাদের মা বাবা বুড়ো হয়ে গেলে অনেক সন্তান তাদের লালন পালন করে না তাদের বৃদ্ধা আশ্রমে আশ্রয় নিতে হয়। সে বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠার জন্য আমি দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি।
আড়াইহাজারে বৃদ্ধাশ্রমের কাজ চলমান আছে। আড়াইহাজারে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি নির্মান করে দিয়েছি ঈদগাহ ও নির্মান করে দিয়েছি। রুপগঞ্জে উন্নত মানের ডাক বাংলা নির্মাণ করে দিয়েছি। আল্লাহ যদি বাচিঁয়ে রাখে আবার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হই, আরো উন্নয়ন করবো।