স্টাফ রিপোটার্র: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্ম বার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ ফতুল্লা থানা কমিটির আয়োজনে দোয়া ও কেক কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ই মার্চ) সন্ধ্যায় ফতুল্লা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ ফতুল্লা থানার সংগ্রামী সভাপতি শেখ মোঃ হাফিজ এর সভাপতিত্বে এ কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ এম নাজমুল হাসান।
তিনি বলেন, ১৯৭০—এর ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু আকস্মিক এক বেতার ঘোষণায় ৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদ অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়। জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত হওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গর্জে ওঠে পূর্ব পাকিস্তান। ঐ দিন পল্টনে ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবেগজড়িত কন্ঠে বলেন, “আমি থাকি আর না থাকি, বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলন যেন থেমে না থাকে। বাঙালির রক্ত যেন বৃথা না যায়। আমি না থাকলেও আমার সহকর্মীরা নেতৃত্ব দেবেন। যে কোন মূল্যে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই রকম নিলোর্ভ, নির্মোহ ছিল আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ মোঃ হাফিজ বলেন, আজ ১৭ই মার্চ টুঙ্গিপাড়ার এক অজপাড়াগায়ে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন স্বাধীনতার মহানায়ক, স্বাধীনতার প্রাণপুরুষ, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ মাসেই ধ্বনিত হয়েছিল স্বাধীনতার অমর বাণী, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” স্বাধীনতা শব্দটি থেকে, বা স্বাধীনতার অর্থ থেকে বঙ্গবন্ধুকে আলাদা করা সম্ভব না। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই ১৯৭১ সালে গুটি গুটি পায়ে উদয় হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতার লাল সূর্য। বঙ্গবন্ধুর ৫৬ বছর বয়সের ২৩টি বছরই কেটেছে এই স্বাধীনতার সংগ্রামে, জেল খানার সেই নিভৃত কুটিরে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য এই বঙ্গবন্ধুকেই সপরিবারে শিকার হতে হয়েছিল ইতিহাসের নিকৃষ্টতম হিং¯্রতার ও বর্বরতার।
এ সময় দোয়া ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সহসভাপতি আবু সাইদ, শামসুন নাহার ও পারভেজ মোশারফ, অর্থ বিষায়ক সম্পাদক মোঃ মানিক, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন, মুক্তিযোদ্বা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান সিরাজ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল জলিল, বন ও পরিবেশ সম্পাদক, রাবেয়া আক্তার নদী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রীনা বেগম, উপদপ্তর সম্পাদক শেখ মোঃ মানিক, মৎস্য ও প্রানী বিষয়ক সম্পাদক আকলিমা সহ অন্যান্ন আওয়ামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।