রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল বলেছেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। জাতির পিতার হত্যাকারী মোশতাক, জিয়ার দোসরদের সাথে কোনো আপোস নেই। তাদের সাথে আপোস করার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমি বিগত অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেছি। কাউকে মেনশন করে কিছু বলিনি। এই কথা তাদের গায়েই লাগে যারা ওই খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়।’
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘দলের অভ্যন্তরে কোনো হাইব্রিড বা অনুপ্রবেশকারী থেকে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হোক। এগুলো বাজারে বাজারে গিয়ে বলার কোনো কারণ নেই। এতে দলের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি হবে। আমি সবসময় সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলি। দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি আমি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেই দায়িত্ব আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। দলের সকল প্রকৃত কর্মী এই চেতনায় বিশ্বাসী।’
জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘সকলের প্রতি অনুরোধ যে, আমি যে কথা বলেছি সেই কথা অনুযায়ী কথা বলবেন। বিকৃত বক্তব্য নিয়ে কথা বলবেন না। না জেনে, না শুনে, বিভ্রান্তমূলক কথা বলা উচিত না। সাংবাদিকদের প্রতিও আমার একই অনুরোধ। সৎ পথের সঞ্চয়ের পয়সা দিয়ে রাজনীতি করি। বাজে কথা যারা বলেন, তাদের হুশিয়ার হওয়া উচিত। আর যদি কোনো দুর্নীতির প্রমাণ থাকে তাহলে তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। উল্টা-পাল্টা কথা বলে কোনো সমাধান হয় না।’
ভিপি বাদল বলেন, ‘যারা খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রীসভায় ও তাঁর বাড়িতে যারা লাইন ধরেছিল, তাদের অনেকের চেহারাই পঁচাত্তরের পরে উন্মোচিত হয়েছে। এই কথাটাই আমি বলতে চেয়েছি। কেননা নেতা-কর্মীদের আসল-নকল বোঝা উচিত। জামাত-শিবিরের দোসররা যদি দলের মধ্যে থেকেই থাকে, তাহলে তাদের বহিষ্কার করা কেন হচ্ছে না? তাদের তো অন্তত শোকজ করা উচিত।’
উল্লেখ্য, স¤প্রতি সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের বক্তব্য নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে লেখালেখিও হয়েছে।