নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, আমরা আজও বঙ্গবন্ধুর খুনের কলঙ্ক মাথায় নিয়ে ঘুরছি। হ্যা, খুনিদের বিচার হয়েছে। তবে যারা তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে এই দেশে প্রতিষ্ঠিত করেছে, তারাতো এখনো রাজনীতি করছে এবং গণতন্ত্রের কথা বলছে। ওই দিন তার দুই মেয়ে আল্লাহর রহমতে বেঁচে যায়। ঘটনাটি আমার সাথে ঘটলে, আমি হয়তো পাগল হয়ে যেতাম অথবা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খুনি হোতাম। উনি (শেখ হাসিনা) এই দুইটার একটাও হন নাই, উনি ওনার বাবার স্বপ্ন পুরণ করছেন। গরিবের মুখে খাদ্য, শিশুদের হাতে বই, উন্নত বাংলাদেশ এটাই ওনার স্বপ্ন।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও নবীনবরণ উপলক্ষে ওই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শামীম ওসমান বলেন, এখানে অনেক গুলো শিশু আছে, খেলা করছে। অনেকে ওদের থামানোর চেষ্টা করছে, আমি বলছি ছাড়েন ওদের, ওরা কি আর এইসব কথা শুনতে আসছে। ১৯৭৫ সালেও এমনই একটি শিশু ছিলো, শেখ রাসেল। যখন বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেলা হয়, তখন তার পুরো পরিবারের সাথে ওই ছোট্ট রাসেলকেও মেরে ফেলা হয়েছিলো। আমার ঘরেও একটি ছোট্ট সন্তান রয়েছে, আমার নাতি। আমি যখন ঘরে গিয়ে কলিং বেলটা চাপ দেই, সবার আগে ওই দৌরে আসে। বর্তমানে আমাদের ঘরের প্রানের স্পন্দন ওই।
তিনি বলেন, চারোদিকে শকুন ঘুরতেছে, কখন মানচিত্রে থাবা দেয় বুঝতে পারছি না। আজ দুইটা যায়গায় সত্যের অনেক অভাব। অনেকে রাজনীতি করেও সত্য কথা বলে না আর সাংবাদিকতা করেও অনেকে সত্যটা লেখেন না। এই দুইটা যায়গা যতক্ষন সত্য বলতে ও লিখতে না পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত সরকারের পক্ষে সম্ভব না এই বাচ্চাদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যত তৈরি করা।
এসময় স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল। অনুষ্ঠানটির সার্বিক আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার রুনা লায়লা।