মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার জন্য নিয়মিত বিদ্যালয়ে গিয়েছেন, স্কুলের শিক্ষকদের পরামর্শে পড়েছেন প্রাইভেট, পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন ফিও নেয়া হয়েছে, অংশগ্রহনের লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে মডেল টেষ্ট পরীক্ষা। অথচ, পরীক্ষার মাত্র ২ সপ্তাহ পূর্বে জানতে পারলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ কারো রেজিস্ট্রেশনই করতে পারেনি। এ অবস্থায় হুমকিতে পড়েছে ১১ শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১নং ওয়ার্ডে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুরে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মেহেরুন বলেন, স্কুলটিতে বিগত ১০ বছর যাবৎ লেখাপড়া করছি। আমরা ২০১৯ সালের অষ্টম শ্রেনীর ফাইনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০২০ সালের জানুয়ারীতে নবম শ্রেনীতে ভর্তি হই। তিনমাস ক্লাস করার পর দেশে করোনা মহামারী শুরু হলে স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর আমরা স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদেরকে প্রাইভেট পরতে বলে। তারপর থেকে ৮০০ টাকা বেতনে আমরা ওই স্কুলের তত্ত্বাবধানে প্রাইভেট পরতে থাকি। আমাদের ব্যাচে ২০ জন ছাত্র-ছাত্রী ছিল কিন্তু করোনার কারণে অনেকে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত আমরা ১১জন ছাত্র-ছাত্রী থেকে যাই। দুই জন ছাত্র এবং আমরা ৯ জন ছাত্রী। এছাড়া সময় মত আমাদের কাছ থেকে এসএসসি পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন ফিও নেয়া হয়। ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের লক্ষ্যে আমাদের মডেল টেষ্ট পরীক্ষা বাবদ ফি এবং পরীক্ষাও নেয়। পরীক্ষা দেয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিতে থাকি কিন্তু পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি যে, আমাদের রেজিষ্ট্রেশন এক বছর পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। এই বিষয়টি জানতে পেরে আমরা মর্মাহত। এ বিষয়ে আমাদের বিন্দুমাত্র ত্রুটি নেই। বিষয়টি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামকে বিষয়টি অবগত করলেও আমরা কোন সুরাহা পাইনি। আমরা প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানের প্রতারণার শিকার। আমরা জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবক জাকিয়া বেগম জানান, আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সন্তানকে এই স্কুলে লেখা পড়া করার জন্য দিয়েছি। আমরা প্রতারিত হয়েছি। আমরা এর বিচার চাই। আমাদের সন্তানদের এ বছরের পরীক্ষায় অংশগ্রহনের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানাই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাজমিন, সুখী, জান্নাত, মেহেরুন, মীম, কবিতা, তন্নি, আফসানা, সোনালীসহ অভিভাবক বৃন্দ।