ফতুল্লায় রিগ্যাল ফার্নিচারের দোকান থেকে খাটসহ আসবাবপত্র চুরি করে পালিয়ে যায় চোরের দল। পরে খাটের হাইসা(হাসিয়া) কিনতে এবং খাট বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয় দুই চোর। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর ডনচেম্বার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাইকৃত ৪টি খাট, ২টি চেয়ার, ১টি টেবিল ও ১টি কর্নার সুকেস উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, ফতুল্লা মডেল থানার কাঠেরপুল এলাকার মৃত তোতা মিয়ার ছেলে ইমন(২৬) ও একই এলাকার অলি আহম্মেদের ছেলে মো. সোহেল (২৬)। এর আগে চুরি যাওয়া রিগ্যাল ফার্নিচারের দোকান মালিক ফয়েজুর রহমান বাদী হয়ে ১ জানুয়ারি ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সুত্রে জানা যায়, ফতুল্লা পাগলা বাজার এলাকার রিগ্যাল ফার্নিচারের দোকান থেকে চলতি মাসের ১ জানুয়ারি সকাল ৬টার দিকে দোকানের তালা ভেঙ্গে ১০টি খাট, ৮টি চেয়ার, ৪টি টেবিলসহ ৪ লাখ টাকার আসবাবপত্র চুরি করে একটি পিকাপ ভ্যানে করে নিয়ে যায়। এ সময় পাগলা বাজারের নিরাপত্তারক্ষী দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করলে তাকে জানানো হয় মালামাল ডেলিভারি করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সকাল ১০টায় দোকানের কর্মচারী দোকানে এসে বিষয়টি দেখতে পেয়ে বাদীকে অবহত করে। বাদী ঐদিনই অজ্ঞাতনামা ৪ চোরকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জানায়, মামলা দায়েরের পরপর তিনি তদন্তে নেমে একাধিক নিজস্ব সোর্স ব্যবহার করেন। শুক্রবার বিকেলে তিনি সংবাদ পান যে শহরের ডনচেম্বার এলাকার একটি দোকানে খাটের হাসিয়া বিক্রি করার জন্য দুই ব্যক্তি এসেছেন। তারা দোকানে আলোচনা করেন যে যদি হাসিয়া না পাওয়া যায় তাহলে তারা বেশ কয়েকটি খাট হাসিয়া ছাড়া বিক্রি করে দিবেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি বিকেল ৫ টায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ডনচেম্বার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইমন ও সোহেলকে আটক করেন। পরে ইমনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার নিজ এবং তার চাচার ঘর থেকে ৪টি খাট, ২টি চেয়ার, ১টি টেবিল ও ১টি কর্ণার সুকেশ উদ্ধার করে। চুরি যাওয়া বাকী আসবাবপত্র উদ্ধারসহ জড়িত অপর দুই আসামী কে গ্রেপ্তারের চেস্টা করা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃতদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।