বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

ফতুল্লা শাসনগাঁওয়ের রাস্তা পানির নিচে

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০.৫৫ পিএম
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার এনায়েত নগর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার পশ্চিম শাসনগাঁও বিভিন্ন এলাকার রাস্তা-ঘাট বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে থাকে। বিশেষ করে রাতভর বৃস্টিতে ফতুল্লার শাসনগাঁও অধিকাংশ এলাকার রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় সকাল থেকে মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ার কারণে কর্মজীবি মানুষরা পর্যন্ত ঘর থেকে বের হতে পারছে না। সেই সাথে সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌছাতে না পাড়ায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের জরিমানা গুনতে হচ্ছে। এতে করে স্থানীয়দের নানা রোগে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পানিতে রাস্তা ডুবে যাওয়ায় অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

এদিকে ফতুল্লার মানুষ অল্পতে বৃষ্টির পানিতে মাত্র কয়েক ঘন্টার টানা বর্ষণে তলিয়ে যায় ফতুল্লা এলাকার অধিকাংশ এলাকা। তলিয়ে গেছে পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন রাস্তাঘাট। অধিকাংশ রাস্তা গুলোতেই হাটু সমান পানি।

এলাকাবাসি জানান, ফতুল্লা শাসনগাঁও আর আস এস ফ্যাক্টরী পানি আমাদের এদিক দিয়ে বের হয়ে যেত। জলাবদ্ধাতায় বাড়ীর ভিতরে পানি প্রবেশ করায় মানুষ বের হতে পারছে না। করেছে। বাসা থেকে বের হওয়ার কোন উপক্রম নেই।

ফতুল্লার পশ্চিম শাসনগাও এলাকার বাসিন্দা দিলবর হোসেন জানান, দীর্ঘ দিন যাবত আমরা বৃষ্টির পানিতে ভোগান্তিতে রয়েছি। ঘর থেকে ঠিক মত বের হতে পারছি না। বিশেষ করে আমাদের এলাকার রাস্তার ড্রেনটি মাসুদ মিয়ার বাড়ি হতে আজগর দেওয়ানের বাড়ি সংলগ্ম মাদার কালার ড্রেন পর্যন্ত সংযুক্ত করা হয় তাহলে আমাদের এলাকার পানি জলাবদ্ধতাটা কমে যাবে। আর এতে করে এলাকার মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারবে। ্সরকার পরিবর্তনের পরে এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যান আত্মগোপনে থাকায় আমরাও এর প্রতিকারের জন্য খুজে পাচ্ছি না। আর এতে করে আমাদের এলাকার ড্রেন কাজ ব্যাহত হয়ে রয়েছে। তাই আমরা এলাকাবাসি স্থানীয় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রতি এবং জেলা প্রশাসকরে প্রতি দাবী জানাই তারা যেন আমাদের এলাকার মানুষের কষ্ট লাগর্বে সচেষ্ট হন।

এসময় তার পাশে থাকা আরেকজন বলেন, বৃষ্টি আসলেই রাস্তায় হাটু সমান পানি। রিক্সা বা অটোরিক্সা কিছুই পাওয়া যাচ্ছেনা রাস্তায়। তবু ও জরুরী একটা কাজে লুঙ্গি পরে আরেকজনের মাধ্যমে ফোন করে অটোরিক্সা বাসার সামনে নিয়ে এসে বাসা থেকে বের হতে হয়েছে। তাছাড়া রিক্সার জন্য ৪০ মিনিটের উপরে দাড়িয়ে থেকে রিক্সা, মিশুক কিছু না পেয়ে স্যান্ডেল হাতে নিয়ে প্যান্ট গুটিয়ে ময়লা পানি মাড়িয়ে নিজ কর্মস্থলে আসতে হয়েছে আরেক ভুক্তভোগির।

এবিষয়ে এনায়েত নগর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আক্তার মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort