ফতুল্লায় মুক্তিপণ আাদায়ে চা দোকানীকে অপহরনের ১৭ ঘন্টা পর অপহৃত অপহৃতকে উদ্ধারসহ মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো ফতু্ল্লা মডেল থানার উত্তর কাশিপুর শান্তি নগরের মারফত আলীর পুত্র রুবেল(২৮) ও একই থানার কাশিপুর শান্তিনগর মোড়ের সফর মাঝির পুত্র সালাউদ্দিন ওরফে সালু (২৮)।
ঘটনাটি ঘটেছে ফতুল্লা মডেল থানার কাশিপুর শান্তিনগর এলাকায়।
অপহৃত চায়ের দোকানীর নাম মামুন(২২)। সে ফতুল্লা মডেল থানার উত্তর নরসিংপুরের আনোয়ার হোসেনের পুত্র মোঃ জাকির হোসেনের পুত্র।
এ ঘটনায় অপহৃত চা দোকানীর বড় ভাই মোঃ জাকির হোসেন বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জন কে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় অপহরনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে বাদীর ছোট ভাই মামুন সোমবার রাত আটটার দিকে ভোলাইল গেদ্দার বাজার আসে তার দোকানের জন্য মালামাল কেনার জন্য। সেখান থেকে মোঃ রুবেল, সালাউদ্দিন ওরফে সালু, কামাল, দিপু, জানে আলম, জীবন, রিপন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন বাদীর ভাইকে অপহরন করে কাশিপুরস্থ শান্তিনগর খানকার পিছনে একটি বাড়ীতে সারা রাত আটকে রেখে নির্যাতন করে। দোকানে ও বাসায় ফিরে না আসায় রাতভর পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে। মঙ্গলবার সকাল ৯-১০ টার দিকে এক কিশোর এসে তাদের কে জানায় যে তার ভাইকে আটকিয়ে রাখা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা দিলে তার ভাইকে ছেড়ে দেওয়া হবে। সংবাদ পেয়ে সে তার ভাইকে ছাড়াতে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ৫০ হাজার টাকা না দিলে ছাড়বেনা বলে জানিয়ে দেয়। পরে দুপুর দুইটার দিকে পুলিশ কে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে অপহৃত চা দোকানী মামুন কে উদ্ধার আহতবস্থায় উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন জানায়, বিষয়টি জানতে পেরে তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত মামুন কেন উদ্ধার সহ গ্রেফতার করা হয় রুবেল কে।পরে রাত তিনটার দিকে গ্রেফতার করা হয় সালাউদ্দিন ওরফে সালু কে। মামলার অপর আসামীদের কে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।